(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অসহায় এক শ্বাশুরীর সাথে পুত্রবধূর অমানবিক আচরনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সর্বত্র তোলপাড়। গতকাল বুধবার সকালে অভিযুক্ত পুত্রবধূ রেখা রায় ও তার স্বামী তপন রায়কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুরপাড় গ্রামের মৃত তরনী কান্ত রায় ৫ বছর পূর্বে মারা যায়।
স্বামী মারা যাওয়ার পরে স্ত্রী জোসনা রায় (৮০) তার দুই ছেলে হতদরিদ্র তপন ও খোকন রায়ের কাছে থাকেন। জোসনা রায় উভয় ছেলের পরিবারের সাথে থেকে জীবন যাপন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছোট ছেলে তপন রায়ের স্ত্রী রেখা রায় তার শ্বাশুরী জোসনা রায়কে শারীরিক নির্যাতন করে। এসময় বড় ছেলে খোকন রায়ের মেয়ে জুতী রায় ওই ঘটনার ভিডিও ধারন করেন। কিছু সময় পরেই ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই নির্যাতনের ভিডিওটি বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামকে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন অবহিত করেন। ওই বৃদ্ধার ছেলে খোকন রায় জানান, তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান শেষে তার ভাই তপন রায় ও তপনের স্ত্রী রেখা রায় আমার বৃদ্ধা মাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার মা তার স্বামীর বসত ঘরে প্রবেশ করতে গেলে রেখা বাঁধা দেয় এবং পরে মারধর করে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলে সে অজ্ঞান হয়ে পরে। এঘটনার একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ মঙ্গলবার রাতেই বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাদের বাড়িতে আসে।
আহত বৃদ্ধা জোসনা রায় দুই ভাইয়ের বিরোধের কারনে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে জানান এবং তার দুই ছেলের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন অভিযুক্ত গৃহবধূ রেখা রায় ও তার স্বামী তপন রায়কে তার অফিসে ডেকে এনে বিস্তারিত জানতে চান। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃদ্ধা জোসনা রায়ের সাথে অমানবিক আচরনের জন্য অভিযুক্ত রেখা রায় তার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। বৃদ্ধা জোসনা রায়ের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের দুই ভাইয়ের বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।