বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রদান’ শীর্ষক জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বলছে, অভিযোজন ও আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক ও অর্থপূর্ণ। আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে দেশব্যাপী একটি প্রদর্শনী মহড়া করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে। তাঁরা আর্থ অবজারভেটরি হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু টু নিয়ে কাজ করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতার মাধ্যমে অন্যান্য দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে তার দক্ষতা বিনিময় করতে ইচ্ছুক।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ‘সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা’ এমডিবি এবং আইএফআই-কে এই ধরনের প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের নিয়মিত আপডেট দেওয়ার জন্য মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬৫ হাজার উপকূলীয় মানুষের সমন্বয়ে বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ একটি সমন্বিত বহু-বিপত্তি প্রাথমিক সতর্কীকরণ পদ্ধতির সর্বশেষ জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’