More

    দিনভর বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারনে মানুষের মধ্যে ঝড় আতংক, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুস

    অবশ্যই পরুন

    কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সোমাবার বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি কিছু বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার কলাপাড়ার গোটা উপকূলীয় এলাকায় দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারনে মানুষের মধ্যে ঝড় আতংক বিরাজ করছে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা করেছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ মো. জাহঙ্গীর হোসেন।

    সভায় সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাছ ধরা জেলে নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপজেলায় ২০টি মুজিব কিল্লাসহ ১৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    যাতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ঢালে বসবাস করা দরিদ্র মানুষজনের বিষয়ে খোঁজ—খবর রাখতে সভায় নির্দেশনাসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা—কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার— পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে (ইউএইচএফপিও) মেডিকেল টিম গঠন করে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

    সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা, কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মো. আলী আহম্মেদ, কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো, হুমায়ূন কবির, কলাপাড়া সিপিপি সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামার খান, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ূন কবির প্রমুখ।

    এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, বন বিভাগের কমীর্,এনজিও কর্মী, ফায়ার সার্ভিস কমীর্, সাংবাদিক, শিক্ষক, সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়া উপজেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদউজ্জামান খান বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা পতাকা টানিয়ে সাত নম্বর বিপদ সংকেতের বার্তা মানুষকে জানানো হচ্ছে।

    নিরাপদ আশ্রয় যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মাঠ পযার্য়ে তিন হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখ হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বদলে যাচ্ছে ‘বিপিএল’র নাম

    পেশাদার ফুটবল লিগের নাম বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে বদলে নতুন নাম হবে বাংলাদেশ ফুটবল লিগ (বিএফএল)। সম্প্রতি পেশাদার...