স্টাফ রিপোর্টার: ‘যখন গলাচিপা-দশমিনার মানুষ নেতৃত্বে বসাবে, পার্লামেন্টে পাঠাবে, তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। আমি আপনাদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব— ধৈর্য ধারণ করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গলাচিপা-দশমিনার জনগণ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তবে কেউই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না,’ বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন।
তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে আমরা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করব। দলের সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। পটুয়াখালী জেলা ও গলাচিপা-দশমিনা উপজেলা এবং প্রতিটি ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই হবে দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী পীর সাহেবের খানকা মাঠে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, আব্দুস সালাম মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আলম তালুকদার, মো. মাসুম বিল্লাহ, মিয়া মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান শাহিন, আসাদুজ্জামান সবুজ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মো. ফজলুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. সাগর খান, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় দশমিনা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মাঠে টিকে আছে। দশমিনা-গলাচিপা আসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই এ আসনে কোনো জোট নয়, বিএনপি থেকে হাসান মামুনের মনোনয়ন চাই। যে কোনো মূল্যে তাঁকে নির্বাচনের মাঠে থাকতে হবে— নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তাঁর পাশে আছে, থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান মামুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছি, নির্যাতিত হয়েছি, কারাবরণ করেছি। ভবিষ্যতে ত্যাগ ও রক্তের মধ্য দিয়েই হোক, দশমিনা-গলাচিপা আসনে বিএনপির এমপি থাকবেই।’
তিনি দশমিনা উপজেলার সকল বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল, যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক রতন, সদস্য সচিব শামিম খান, শ্রমিক দলের সভাপতি অলিউল ইসলাম, কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী তানজিদ আহমেদ রিডেন, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসান জিদনিসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক।
