More

    বরিশালে ডেঙ্গুতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টার মধ্যে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

    এ নিয়ে চলতি বছরে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তারা হলেন— ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪৮) এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মো. নাসিমের স্ত্রী লাইজু বেগম (৪০)। তাদের মধ্যে আবুল কালামকে শুক্রবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় মারা যান। অন্যদিকে গত ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাইজু বেগমের মৃত্যু হয় শুক্রবার রাতে।

    এদিকে বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ছয় জেলায় নতুন করে আরও ১৫৭ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দুটি মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৪৯ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৪২৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে- বরগুনা জেলা।

    এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৮৬ জন আক্রান্ত রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৪৫৪ জন, পটুয়াখালী জেলায় ২ হাজার ১২১ জন, ভোলা জেলায় ৩৬৮ জন, পিরোজপুর জেলায় এক হাজার ৩৬৩ জন এবং ঝালকাঠি জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের সংখ্যা ৬২২ জন। এর বাইরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক হাজার ৯৫৯ জন এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজার ৫০৬ জন।

    এর মধ্যে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২৫ জন, বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন, ভোলায় একজন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে একজন এবং পটুয়াখালীর দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া ২৫ জনের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি বরগুনা জেলায়।

    বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কিছুটা বেশি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে মশাবাহিত এ রোগটি গ্রামাঞ্চলে বেশি ছড়াচ্ছে। তবে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কম। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    মুগডালের নামে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত ‘মথবীজ’

    বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে পাওয়া গেছে ক্যানসারের বিষাক্ত উপাদান টারট্রাজিন। রং মিশিয়ে যা মুগডাল হিসাবে সারা দেশের বাজারগুলোতে...