More

    বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে হামলা আহত ১০

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা গাছ ফেলে ঘণ্টাখানেক বরিশাল-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

    সোমবার ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ৮টায় বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন। রাত সোয়া ১১টা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা বলছেন, মিছিলে না যাওয়ায় তাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষ ছাত্রদের একটি পক্ষ।

    আবার যে পক্ষের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে তাদের দাবি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হামলার চেষ্টাকালে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসন বলছে রাতের বেলায় দুর্বৃত্তরা তাদের ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    শাহরিয়ার বলেন, মিছিলে অংশ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তারা ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে বিকেলে তর্ক-বির্তক হয়। তখন আমাদের ওপর হামলারও চেষ্টা করা হয়। তখন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কলেজ অধ্যক্ষের কাছে বিচার দেওয়া হয়।

    তিনি বলেন, সাকিব ভুইয়ার নেতৃত্বে কলেজের ১০/১২ শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত ২০/২৫ জন রামদা, স্টাম্প, লাঠিসোঁটা নিয়ে রাত আটটার দিকে ছাত্রাবাসে হামলা করে। তারা অন্তত ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।

    কলেজ ছাত্রলীগের নেতা সাকিব ভুইয়া বলেন, কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল হতে দিতে চায়নি বিএনপি-জামায়াতের একটি পক্ষ। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করে। তখন প্রতিরোধ করলে মারামারি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, যাদের মিছিলে যেতে বলা হয়েছিল, তারা না গিয়ে গালাগাল করে।

    আর সেই গালাগালের সূত্র ধরেই হামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। বরিশাল মহানগর পুলিশের ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেছে, তাতে কলেজে দুটি গ্রুপ রয়েছে। এক গ্রুপ হলে এসে অপর গ্রুপের ওপর হামলা করেছে।

    তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। তাদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। হামলার কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।

    হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন– কলেজের সিভিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সবনিল, সিভিল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আতিক শাহরিয়ার, ইয়ান চৌধুরি এবং ইলেক্ট্রনিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব। আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, কোঠা সংস্কারের দাবিতে গত বুধবার থেকে কলেজ শিক্ষার্থীরা অভ্যন্তরীণ আন্দোলন করে আসছেন।

    সোমবার কলেজের ইলেক্ট্রনিক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব ভুইয়া, বেল্লাল, শাহরিয়ার তানভীরসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা বলে। এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরক্ষণেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে বহিরাগত মুখোশধারীরা ক্যাম্পাসের হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেধরক মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এতে প্রায় ১০ শিক্ষার্থী আহত হন।

    আহত চার শিক্ষার্থীকে শের–ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, হামলার সময় ও পরে তাঁরা কলেজ অধ্যক্ষের সহায়তা চেয়ে পাননি।

    এছাড়া এসময় পুলিশও নিষ্ক্রিয় ছিল। কলেজের অধ্যক্ষ খলিল উদ্দীন বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জামায়াতে ইসলামীর

    পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেইসাথে, জাতীয় সনদসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ...