উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরের ধামুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চঞ্চল সরদার ও সিরাজ মেম্বার দুই চাচাত ভাইয়ে গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষে কুপিয়ে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে জালিস মাহমুদ রনির ডান হাতের তালু প্রায় বিচ্ছিন্ন ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও আহত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাঙ্গশীর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হালিম সরদারের ছেলের সাথে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরদারের ছেলে ফাহিম সরদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৩ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় কোপের আঘাতে গুরুত্বর আহত হন চঞ্চল গ্রুপের জালিছ মাহমুদ রনি,রফিকুল ইসলাম, রাহাত, ইউপি সদস্য মোঃ শিরাজুল ইসলাম, ফাহিম সরদার,মেহেদী মোল্লা।
এ ব্যপারে রফিকুল ইসলাম সরদার জানান, চেয়ারম্যান পুত্র চঞ্চল সরদারের সাথে ফাহিম সরদারের দ্বন্ধের জেড়ে আমি চেয়ারম্যান হালিম সরদারের জামাতা হওয়া আমাকে ও রাহাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী শিরাজুল ইসলাম সরদার ও তার ছেলে ফাহিম সরদার বাহিনীরা।
এছাড়া দুপুর ২ টার দিকে ফের সংঘর্ষ হয় এতে রক্তাক্ত জখম হয় জালিছ মাহমুদ রনি। তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইউপি সদস্য মোঃ শিরাজুল ইসলাম সরদার জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে আমার ছেলে ফাহিম সরদার গুরুত্বর আহত হয়ে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নেই এবং মেহেদী মোল্লা আঘাত প্রাপ্ত হয়।
উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।