More

    বরিশাল-৬: এবার জামানত হারালেন তিনবারের এমপি রতনা

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টার: ৬ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী (এমপি) নাসরিন জাহান রতনা। সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন এই সংসদ সদস্য। শুধু তিনিই নন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসনে বেসরকারি ফলাফলে ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন জামানত হারিয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু এসব প্রার্থীরা প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন। নাসরিন জাহান রতনা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ২০০৯ সা‌লের ১৯ মার্চ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সংসদে ৪৫টি সংরক্ষিত আসনের একটিতে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দলীয় লাঙল প্রতীক নিয়ে তি‌নি বরিশাল-৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    জানা‌ গে‌ছে, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রতনা এবারও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগের এই আসনে ছাড় দেওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দেয়নি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক প্রার্থী হন। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভোটে তৃতীয় হয়েছেন নাসরিন জাহান রতনা। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ১৮৮। নাসরিন জাহান রতনা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কাস্টিং মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পাননি। তাই তার জামানত ফেরত পাবেন না। তবে এত কম ভোট পাওয়া মেনে নিতে না পারা জাতীয় পার্টির নেতারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।

    এর আগে ২০০৪ সালে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন নাসরিন জাহান রতনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছিলেন। নবম সংসদে সংরক্ষিত সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেননি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকায় সামান্যও উন্নয়ন করেননি। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় সাধারণ ভোটাররা তাকে ভোট দেননি।

    এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মিত্র বলেন, তিনি (রতনা) আসতেন। সাধারণ মানুষও তার কাছে আসত। রতনা এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন দাবি করে বিপ্লব আরো বলেন, তার সময় বাকেরগঞ্জের মানুষ শান্তিতে ছিল। কারও কোনো অভিযোগ ছিল না।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর কেটে মাটি উত্তোলন: চালককে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

    কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর কেটে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগে...