More

    বর্ষীয়ান গাছগুলো রক্ষা করতে হবে

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের সি এন্ড বি রোড সংলগ্ন ঢাকা টু কুয়াকাটা মহাসড়কের বর্তমান দৃশ্যে।বিগত ২০২১ সালে রাস্তায় সর্বমোট চারটি লেন ছিল।যার মাঝখানের দুই লেন মহাসড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং অবশিষ্ট দুই লেন শহরের গাড়ি চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হতো।এছাড়াও প্রতিটি রোড ডিভাইডারে ছিল বিরুপ পরিবেশে টিকে থাকা বেশ কিছু বর্ষীয়ন গাছ।ফলে গ্রীষ্মকালের তীব্র দাবদাহেও মিলত স্বস্তির বাতাস এবং থাকত স্বাভাবিক পরিবেশের পরিস্থিতি।

    এই গাছগুলোর ছায়াতলে আশ্রয় নিতো রাস্তার পথচারী ও স্থানীয়রা ।পাখপাখালির কিচিরমিচিরে প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া প্রবাহমান ছিল।যা ছিল রাস্তার নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বস্তির নিঃশ্বাসের অংশ। কিন্ত বর্তমান সময়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাস্তা প্রশ্বস্ত করার জন্য বর্ষীয়ান গাছগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে রোড ডিভাইডারের ভিতর থেকে।

    ফলে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরের অসহনীয় তাপমাত্রা।বৃষ্টির মৌসুমের আগমন ঘটলেও বৃষ্টি হচ্ছে না,ফসলের ফলনশীল উর্বরতা ও মাটির গুণাগুণ কমে যাচ্ছে।নির্বিচারে গাছগুলি কাটার কারণে প্রকৃতির বিরুপ আবহাওয়ার তৈরি হয়েছে।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর চেয়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি বর্ষীয়ান গাছগুলি সংরক্ষণ করার বিধিমালা জারি করা ও বাস্তবায়নে অগ্রগামী হওয়া।

    তাছাড়া ভৌগোলিক অবস্হান অনুযায়ী দেশে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন।কিন্তু সেই তুলনায় গাছের সংখ্যা ৯ ভাগেরও কম।পাশাপাশি বর্ষীয়ান গাছগুলির রক্ষণশীলতার অভাবে পরিবেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে।মানুষসহ পশুপাখিদের স্বাভাবিক জীবনও বিপর্যস্ততার সাথে লড়াই করে যাচ্ছে।

    অনেক সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায় এই গাছগুলির কারণে।তাই দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও এই বর্ষীয়ান গাছগুলি সংরক্ষণ করা বর্তমান সময়ের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে।বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াশা, সড়ক ও জনপদ কে দেখা যায় বিদ্যুতের লাইন টানার নামে কিংবা সড়ক প্রশস্ত করার নামে বর্ষিয়ান গাছগুলো নিধণ করছে।

    এছাড়াও পাহাড় কেটে, নদী- নালা খাল-বিল, পুকুর- দিঘি অবৈদভাবে ভরাট করে ময়লার ভাগাড় ফেলে, দখল করে দালাকোঠাসহ নানা স্থাপনা করেছে অনেকে।বর্ষীয়ান গাছগুলো যেন মানবজাতির মধ্যে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে যুগ যুগ ধরে সেতুবন্ধ রচনা করে চলেছে।

    মানুষ ও প্রকৃতি সহাবস্থানে থাকলেই পৃথিবী হয়ে উঠবে সবুজের সমারোহপূর্ণ ও নিরাপদ। তাই সবুজ অরণ্য ঘেরা পরিবেশ বজায় রাখতে বর্ষীয়ান গাছের যত্ন নেয়া এবং রক্ষায় স্হানীয় জনগণ ও কর্তৃপক্ষকে বাস্তবমুখী কার্যসম্পাদনে স্বউদ্যেগে অগ্রসর হতে হবে

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবীতে বাপাউবো এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বৈঠক

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে বাড়ি—ঘর, চলাচলের...