নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদ উপজেলার ব্যাসকাঠি গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক অসহায় বিধবা মহিলার একটি মুদি দোকানসহ সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে উপজেলা গুয়ারেখা ইউনিয়নের রাজবাড়ী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর দাবি কোন দুর্বৃত্তদেরা তার দোকানে আগুন লাগিয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দাবি বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই অসহায় মহিলার নাম নেহারুন বেগম।
তিনি ওই ইউনিয়নের রাজবাড়ী আবাসনের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার ওই অসহায় মহিলাকে দোকানটি চালাতে দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে দোকান মালিক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ওই অসহায় মহিলার ছেলে মো: মিলন শেখ বলেন, তার মা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে যায়।
রাত আনুমানিক দুইটার দিকে খবর পায় দোকানে আগুন জ্বলছে। ছুটে গিয়ে দেখতে পাই আগুনের লেলিহান শিখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। দোকানে চাল,ডাল,তেল,ডিজেল,সিগারেট,গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হত। আগুনে তাদের ত্রিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন বাবা মারা যাওয়ার পর মা অনেক কষ্ট করে দোকানটি দাড় করিয়েছিলেন। তাদের সব শেষ। তার অভিযোগ কেউ ইচ্ছে করে দোকানে আগুন দিয়েছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদারের পরিবার জানান, ওই দোকানের মালিক তারা। তারা ওই অসহায় বিধবা নারীকে দোকান চালাতে দিয়েছিলেন। ইউনিয়নের ইউপি উপ-নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি নেহারুন চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা রব সিকদারের পুত্র বধূ ফারজানা আক্তারের নির্বাচন করেছিলেন। যে কারণে একটি পক্ষ তাদের এ ক্ষতি করেছে। এ ব্যাপারে থানায় তারা একটি অভিযোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় বিধবা মহিলা নেহারুন বলেন, সরকারি ঘরে থাকি। ছোট একটি টং দোকান থেকে একটি স্বপ্ন নিয়ে তিল তিল করে মুদির দোকান গড়েছিলাম। গত শনিবার দোকানে ত্রিশ লাখ টাকার নতুন মালামাল তুলে ছিলাম। সব মিলিয়ে আমার পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রাতে দোকান শেষ করে দোকানের পিছন এবং সামনের তালা মেরে বাড়ীতে গিয়েছি।
এখন আগুনের পর দেখি দোকানের পিছনের দরজা খোলা। কেউ আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। তা নাহলে দোকানের পিছনের দরজা খোলা কেন। নেছারাবাদ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার লিয়াকত আলী জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে একটু দেরি হওয়ায় আগুনে তাদের সব শেষ। আগুনে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান এখন পর্যন্ত নির্ধারণ হয়নি।