পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও ভেসে এলো মৃত ডলফিন। প্রায় ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ডলফিনটি বোতলনোজ প্রজাতির। এর পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। যেটাকে দেখার জন্য স্থানীয়সহ ঘুরতে আসা পর্যটকরাও ভিড় জমিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুয়াকাটা সৈকত থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে কম্পিউটার সেন্টার এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু। ডলফিনটি দেখতে পাওয়া রাজু বলেন, বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল থাকার কারণে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া ওঠে গেছে।
শরীরের কিছু কিছু জায়গা গলে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে গত ৪-৫ দিন আগে মারা গেছে। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এসব মৃত ডলফিনের কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি।
এসব মৃত ডলফিনের পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। যার কারণে ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলিং, জেলেদের অসাবধাণতা ও সমুদ্রে প্লাস্টিক বৃদ্ধির কারণে এদের মৃত্যু ঘটছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, আমরা ডলফিন রক্ষায় উপকূলজুড়ে কাজ করছি।
২০২৫ সালে ৫টি ডলফিনের দেখা মিলেছে এই সমুদ্র সৈকতে। আমরা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো বের করা হয়। বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দিয়েছে। যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।