সাকিবুজ্জামান সবুর, স্টাফ রিপোর্টার: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নের বর্ডারে চেঁচরী রামপুুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেচঁরী নেছারিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া নেছারিয়া কারিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন ছোট খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। এলাকার বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বাধ্য হয়ে এই ব্রিজটি ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘদিন যাবত ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ব্রিজটির স্লাব ভেঙে পড়েছে, অ্যাঙ্গেলগুলো হেলে পড়েছে ।
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রিজের পাশে গাছ দিয়ে তার উপরে কাঠ দিয়ে সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা করলেও অতি বৃষ্টিতে কাঠ পচেঁ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাঁশবুনিয়া নেছারিয়া কারিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জান্নাতী আক্তার, ফাতিমা খানম, তালহা জমাদ্দার জানান, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই ব্রিজ পারাপার হয়ে মাদ্রাসায় আসা—যাওয়া করি। ব্রিজের উপর উঠলেই ভয় লাগে।
একটি নতুন ব্রিজ দরকার। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন খান জানান, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে । আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। বাঁশবুনিয়া নেছারিয়া কারিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. মোজাম্মেল হক জানান, বর্তমানে ব্রিজটি চলাচলে একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মাঝে মাঝে আমাদের শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী এক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। ব্রিজটির দুইপাশে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দক্ষিণ চেঁচরী নেছারিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক মো. মাহবুব জমাদ্দার বলেন, বর্তমানে ব্রিজটির লোহার পিলার খালের মধ্যে নুয়ে পড়ছে। উপরের পাটাতনের কাঠও ঠিক মত নেই। গ্রামের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
নতুন একটি ব্রিজ দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাহমুব আলম জানান, এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির তালিকা উপজেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা এলইজিডির প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, “ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত প্রকল্প প্রস্তাবটি পাশ হয়ে আসবে।