More

    লাগাতার বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি

    অবশ্যই পরুন

    স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে তিন দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এ বিষয়ে কোনো আশ্বাস দেননি। তাই এবার লাগাতার বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। সোমবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরোধ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি।

    এদিন বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তিন মাস সময় চেয়েছেন। এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে আমরণ অনশনে বসেছে একদল শিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি।

    সবশেষ রোববার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেছিলাম, শেবাচিম হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সশরীরে আসার জন্য। এখানে এসে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শেষে তিন দফা দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস প্রদানের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আলটিমেটামের সময় শেষ হলেও তিনি বরিশাল আসেননি, তাই দাবি আদায়ে আমরা লাগাতার বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

    মহিউদ্দিন আরও বলেন, যদি শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ওপর দুর্নীতি, ভোগান্তি, অবহেলা চলতে থাকে, তাহলে এ আন্দোলন আরও কঠোর হবে। এর আগে স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

    কুয়াকাটা থেকে আসা যানবাহনগুলো নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের চৌমাথা থেকে নবগ্রাম রোড দিয়ে কাশিপুর চৌমাথার দিকে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। এতে যানবাহনগুলো বিকল্প পথে গন্তব্যে চলে যায়। তবে এই পথে অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার মূল কাজ হলো হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানো, রোগীকে সন্তুষ্ট করা। হাসপাতালটি আমাদের সবার। এই হাসপাতাল চালাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

    ছাত্রজনতার চলমান আন্দোলন নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সহকারী উপদেষ্টা, সচিব ও ডিজি স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বরিশালের বিষয়ে অত্যন্ত পজেটিভ। বরিশালসহ সারা দেশে স্বাস্থ্য সংস্কার বিষয়ে কাজ করছেন তারা। তাদের সময় দিতে হবে। তবে অচিরেই সারা দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও আগামী মাসে ৩২শ নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের হাসপাতালে তুলনামূলক বেশি চিকিৎসক ও নার্স পাবে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে।

    একই সঙ্গে খুবই দ্রুততার সঙ্গে আমাদের হাসপাতালের জন্য ১টি এমআরআই মেশিন, ক্যাথ ল্যাব ও সি-আম মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য বরিশালবাসীর কাছে তিন মাসের সময় প্রত্যাশা করেন তিনি।

    বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাইয়ান ইসলাম বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে দক্ষ জনবল নেই। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যতক্ষণ পর্যন্ত বরিশাল এসে সমাধান না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে। এজন্য এই হাসপাতালের সংস্কারে সাতটি দাবি উপস্থাপন করেছি। সেগুলো হলো-দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ট্রলি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।

    বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। রোগীদের সেবার মান উন্নয়নে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন ও সুপারিশ বাস্তবায়নে ছাত্রপ্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। কোনো রোগীকে যেন বাইরে যেতে না হয় এবং ওষুধ ও সব প্যাথলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে থাকতে হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পবিপ্রবিতে মিথ্যা অভিযোগে র‌্যাগিং ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

    পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৯...