পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নে রশির ফাঁদ পেতে গরু চুরির সময় হাতেনাতে ৫ চোরকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। চোরদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের খাসমহল গ্রামের মো. ইমাম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইদুল বয়াতী (৩৫), কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম রজপাড়া গ্রামের মো. ফেরদাউস সিকদার (৩৫), পটুয়াখালীর কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য ধরান্দি গ্রামের মুজাম্মেল হোসেন সিকদার (৪৮), কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ছইলাবুনিয়া গ্রামের মো. আবু কালাম আজাদ (৪১), কলাপাড়া পৌরসভার চিংগুড়িয়া গ্রামের শ্রী সুভাষ বেপারী (৫৫)।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন ছাড়াও এ মামলায় পলাতক দুজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদীর ২৪টি গরু উপজেলার জাহাজমারা চরে ছাড়া অবস্থায় ছিল। সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়রা দেখতে পান, কয়েকজন চোর ওই গরুগুলোর মধ্যে থেকে দুটি গরু ফাঁদ পেতে ধরে নিয়ে পাশের ট্রলারের দিকে যাচ্ছে।
এ সময় স্থানীয়দের ডাক-চিৎকারে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় চুরি যাওয়া দুটি গরু উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে গরু ধরার ফাঁদ জব্দ করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ চোর চক্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গবাদিপশু চুরি করছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সকালে ৫ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।