More

    বরিশাল মানিক মিয়া মহিলা কলেজ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কে এম শহিদুল্লাহ , প্রতিবাদে শিক্ষকরা

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের বেগম তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কে এম শহিদুল্লাহ—একসময় বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তি অস্ত্র মামলায় কারাবাস, নারী কাউন্সিলরের সঙ্গে সম্পর্কের কেলেঙ্কারিসহ নানান বিতর্কে আলোচিত ছিলেন।

    হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। কোনো দলীয় পদ না থাকলেও আলেকান্দা এলাকার কিশোর মজলিশ ক্লাব দখল করে সভাপতি হন। সেই প্রভাব খাটিয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে চাপ দেন ক্লাবের নির্দেশে কলেজ চালানোর জন্য। এমনকি ম্যানেজিং কমিটি গঠনে সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস জাহান শিরিনের স্বাক্ষর ছাড়াই নাম প্রস্তাব করার চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষক-অভিভাবকদের কঠোর বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিরিনকে সভাপতি করে দুই বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন করে।

    অভিযোগ উঠেছে, কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতেও চাপ দিয়েছেন, যা তহবিল তছরুপের কাজে ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষকরা।

    কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—“দাতা সদস্য হওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের বাইরে কারো নেই।” কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক আমিনা ইসলামও বলেন, “একজন নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কলেজের সঙ্গে যুক্ত করা মেনে নেওয়া যায় না।”

    শিক্ষার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, শহিদুল্লাহকে দাতা সদস্য থেকে অব্যাহতি না দিলে তারা ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দেবে।

    এরই মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সভাপতি হিসেবে সাবেক সাংসদ বিলকিস জাহান শিরিনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—“কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...