বরগুনার আমতলীতে মাদ্রাসার দাওয়াত ছাড়া আয়োজিত খাবার খেয়ে ও নষ্ট করার ঘটনায় বিএনপির গুলিশাখালী ইউনিয়ন সদস্য ও ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুব কাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার অভিযোগ অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর গুলিশাখালী ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে ৫০ জন অতিথির জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। দাওয়াত না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির শ্রমিক দল সভাপতি রিপন কাজী ও মাহবুব কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী মাদ্রাসায় প্রবেশ করে খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে দেন। এমনকি অতিথিদের খাওয়া ঠেকাতে খাবারের পাতিলে টিস্যু ও নোংরা পানি ফেলেন বলেও অভিযোগ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আলী হোসেন অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও বরগুনা জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তাকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা মানা না হওয়ায় ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটে। পরে জসিম উদ্দিন ও স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আকনের নেতৃত্বে শালিস বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও অধ্যক্ষ সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা জানান, ‘মাহবুব কাজী মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন শালিস বৈঠক করলেও নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘মাদ্রাসার সভাপতি আমাকে অনুরোধ করায় আমি শুধু ঝামেলা নিরসনে গিয়েছিলাম।’