আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ একেবারেই দোরগোড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় ধমীর্য় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। শরৎ এলেই যেন মনে দোলা দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধমীর্য় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বরিশাল জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায়।
তাইতো দিন রাত মন্ডপে মন্ডপে দেবী দুর্গা, কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ প্রতিমা তৈরির কাজে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। গত বছরের চেয়ে বেড়ে এ বছর আগৈলঝাড়ায় উপজেলায় মোট ১৭৪টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গা পূজা। হাতে সময় কম, তাই দিন রাত ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করছেন প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
কাদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমায় ভরে উঠছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির। চলছে প্রতিমাগুলোতে একমাটি ও দো—মাটির কাজ। দো—মাটির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে প্রতিমাগুলোতে রং ও তুলির কাজ। আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যতিন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ১শ ৭৪টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিমা তৈরীর মৃৎ শিল্পী উপজেলার পাল পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় পালসহ মৃৎ শিল্পীরা জানিয়েছেন, এ বছরও তারা অন্য বছরের মতো প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা নির্মান করছেন। তবে এ বছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা নির্মাণের খরচ একটু বেশী পরবে। প্রতিমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। পূজার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিমার গায়ে রং তুলির অঁাচড়ের কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক জানান, দুর্গা পূজাকে ঘিরে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়াসহ পুলিশি পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পঞ্জিকা মতে, ২১ সেপ্টেম্বর রোববার মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষের সূচনা, আর ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক—ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ এবং ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার দশমী বিহিত পুজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দূর্গা পুজা। এবার দেবী দুর্গার আগমন গজে বা হাতিতে আর গমন দোলায়।