বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১শত ৫৯টি পূজামন্ডপে ৭৯ টন ৫ শত কেজি চাল নিয়ে উপজেলা পূজা কমিটি চালবাজি করছে। তাদের কাছে ছাড়া অন্য কারো কাছে চাল বিক্রি করা যাবে না বলে জানান মন্দিরের কমিটি।
চালের বরাদ্দকৃত ডিও’র কাগজ নিয়ে গোডাউনে চাল আনতে গেলে তারা চাল না দিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন। তখন পূজা কমিটি তাদের বরাদ্দকৃত ৫শত কেজি চাল না দিয়ে ১৮ হাজার টাকা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোহাবান এর দেয়া ১ হাজার টাকাসহ ১৯ হাজার টাকা প্রতিটি পূজা মন্ডপে বিতরণ করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১শত ৫৯টি পূজা মন্ডপের জন্য সরকার থেকে ৭৯টন ৫শত কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নামে ৫শত কেজি করে চালের বরাদ্দ দিয়ে ডিও’র কাগজ দেওয়া হয়। তারা ওই ডিও’র কাগজ নিয়ে উপজেলা গোডাউনে চাল আনতে গেলে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আবু বকর ছিদ্দিক চাল না দিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী ও সদস্য সচিব দীনেশ হালদারের কাছে পাঠিয়ে দেন। এই চালের বর্তমান বাজার মূল্য রয়েছে ৪৫ হাজার টাকার উপরে। তারা এই চালের মূল্য দিচ্ছে প্রতি টন ৩৮ হাজার ৫শত টাকা করে।
প্রতিটি পূজা মন্ডপে ১৯ হাজার ২শত ৫০ টাকা করে পাওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপ, লক্ষী দশহারাসহ বিভিন্ন অজুহাতে ১ হাজার ২শত ৫০ টাকা করে কম দেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, প্রতিবছরই আমাদের দুর্গাপূজা মণ্ডপের জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা সিন্ডিকেটের কারনে চাল বাইরে বিক্রি করতে পারি না।
তাদের ইচ্ছামতো মূল্যে এ চাল বিক্রি করতে হয়। প্রতিবছরই এ চাল নিয়ে সিন্ডিকেট হয়ে থাকে। যখন যারা ক্ষমতায় আসেন তখন তারাই এ নিয়ে সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমাদের কাছে যারা ডিও নিয়ে আসেন তাদের চাল দেওয়া হয়।
আমরা পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠাইনি। এখন পর্যন্ত কেউ চাল নিতে আসেননি। এব্যাপারে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব দীনেশ চন্দ্র হালদার বলেন, কে বলেছে আমরা সিন্ডিকেট করেছি। যাদের চালের প্রয়োজন তারা আসলে চাল দিয়ে দিবো। পরে বিস্তারিত বলব।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক বলেন, প্রত্যেক পূজা মন্ডপে উপজেলা প্রশাসন থেকে চালের ডিও দেওয়া হয়েছে। চালের পরিবর্তে কেউ টাকা নিলে সেই দায়িত্ব তাদের।