ঝালকাঠির নলছিটিতে বিদেশ নেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নলছিটিতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মনির হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ার উত্তর হাশেমপুরস্থ ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, কবির উদ্দিনের ২ ছেলে মো. নাছির উদ্দিন, মো. ফরমান ও কবির উদ্দিনের স্ত্রী নুরজাহান বেগম। আদালতের বিচারক মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে নলছিটি থানা পুলিশকে এফআইআর’র নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ১নং আসামি নাছির উদ্দিনের সাথে বাদি মনির হোসেনের সু সম্পর্ক হয় এবং এক পর্যায় অভিযুক্তের মা ও ভাইয়ের সাথেও বাদির সু সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় নাছির উদ্দিন সৌদি আরবে চল যায় এবং কিছুদিন পরে বাদি মনির হোসেনকে ড্রাইভারি ভিসায় সৌদি আরবে নিয়ে যাবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন পরে অভিযুক্ত নাছির উদ্দিন বাদি মনির হোসেনকে জানায় ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৬০ হাজার টাকা বেতনে ড্রাইভারি ভিসায় সৌদিআরবে নেয়া যাবে এই বলে পাসপোর্টসহ কাগজপত্র ও টাকা চায়। এরই প্রেক্ষিতে ২নং ও ৩নং আসামি বাদির বসতঘরে আরে এবং বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সৌদিআরবে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করে।
একপর্যায়ে আসামিদের প্ররোচনায় ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা আসামীদের প্রদানের বিনিময়ে সৌদি আরবে মাসিক ৬০,০০০/- টাকা বেতনে চাকুরী করতে সম্মত হইলে আসামীরা বাদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্টের কপি ও টাকা প্রদান করতে বলেন। ১ নং আসামীর কথা মোতাবে নিজ নামিক ব্যাংক হিসাব নম্বর ২০৫০১৬৩০২০৪১৬৫২১৬ এ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি হাইখোলা চকবাজার শাখা বরিশাল থেকে ০৩ বারে অর্থাৎ বিগত ২৮/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বিগত ১২/০৫/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ১,০০,৩০০/- (এক লক্ষ তিনশত) টাকা এবং বিগত ২০/০৫/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সর্বমোট ২,০০,৩০০ (দুই লক্ষ তিনশত) টাকা ১ নং আসামীর ব্যাংক হিসাবে প্রদান করেন। কিছুদিন পরে ২ ও ৩ নং আসামী বাকী টাকা নিতে বাদির বাড়িতে আসিয়া দুইদিন বেড়িয়ে বিগত ১০/০৬/২০২৫ইং তারিখ মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় যাওয়ার সময় বাদির বসত ঘরের সামনের বারান্দায় বসিয়া নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ২নং আসামী গুনিয়া ৩নং আসামীর হাতে দিলে ৩নং আসামী বান্ডেল তিন খানা তাহার ভ্যানিটি ব্যাগে ভরিয়া কাধে বুলাইয়া নিয়া ১ মাসের মধ্যে বাদিকে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর অভিযুক্ত আসামিরা বাদিকে সৌদিআরবে নিতে গড়িমসি করতে থাকে। এক পর্যায় আসামিরা বাদির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বহুবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কোনরূপ কোন যোগাযোগ করতে না পারিয়া বিগত ৩১/০৮/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে আসামীদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করিলে আসামীরা উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া ২ ও ৩ নং আসামী বাদির বাড়ীতে আসে এবং ১২/০৯/২০২৫ইং শুক্রবার সময় আনুমানিক বিকাল ৪ টার সময় বাকবিতন্ডা হলে আসামিদ্বয় বাদিকে সৌদিআরবে নিবেনা এবং বাদির নেয়া ৪ লাখ ৩ শত টাকা ফেরতও দিবেনা বলে জানায়। এবং এ ঘটনায় মামলা মোকাদ্দমা করিলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরই জেরে ভুক্তভোগি মনির হোসেন বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।