More

    ভুল চিকিৎসায় গরু মারলো কথিত পশুচিকিৎসক ভাস্কর চন্দ্র দাস

    অবশ্যই পরুন

    ভোলা প্রতিনিধি: গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে রয়েছে কথিত পশুচিকিৎসক। নামমাত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অবলা প্রাণীদের জীবন নিয়ে রীতিমতো খেলা করেন তারা। এসব কথিত পশুচিকিৎসকদের অপচিকিৎসায় প্রাণ হারায় বিভিন্ন প্রজাতির পোষা প্রাণি। ভোলার লালমোহন উপজেলারও বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন এসব কথিত পশুচিকিৎসকরা।

    উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ এলাকার এমনই এক পশুচিকিৎসক ভাস্কর চন্দ্র দাস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পোষা প্রাণীকে রীতিমতো অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তার অপচিকিৎসায় এরই মধ্যে মারা গেছে কয়েকটি গরু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম নামে এক খামারি। তিনি বলেন, আমার একটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই গরুটিকে স্থানীয় পশুচিকিৎসক ভাস্করের কাছে নিই। তার কাছে নিলে তিনি গরুটিকে চিকিৎসা দেন। ওই চিকিৎসার পর গরুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    এরপর আমি গরুটি নিয়ে যাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে। আগেই গরুটিকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় ওই গরুটিকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আব্দুর রহিম আরো বলেন, আমি আগে জানতাম না বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ অনুসারে ডিভিএম ডিগ্রি ছাড়া কেউ গবাদিপ্রাণির চিকিৎসা করতে পারবেন না। অথচ ভাস্কর বাবু নিজেকে পশুচিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ খামারিদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

    তার এই প্রতারণার শিকার আমিও। ভাস্কর বাবুর অপচিকিৎসায় আমার অন্তত ৬০ হাজার টাকা দামের গরুটি মারা যায়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার মাধ্যমে এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি গরু মারারও অভিযোগ রয়েছে। এই কথিত পশুচিকিৎসক ভাস্করের কাছে অবলা প্রাণীদের জীবনের যেন কোনো মূল্য নেই। আমি তার শাস্তি কামনা করছি।

    অভিযোগের ব্যাপারে ভাস্কর চন্দ্র দাস জানান, পশুচিকিৎসার জন্য আমার প্রশিক্ষণ রয়েছে। এছাড়া আমি ওই ব্যক্তির গরুটিকে নিয়ম মেনেই চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি এরপরও অন্য কোথাও গরুর চিকিৎসা করানোর কারণে সেটি মারা গেছে। কেবল এই ভাস্কর চন্দ্র দাসই নন, লালমোহন উপজেলার আনাচে-কানাচে এভাবেই দিনের পর দিন অবলা প্রাণীদের অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন কথিত পশুচিকিৎসকরা। গ্রামের পর গ্রাম দাবড়িয়ে বেড়ালেও এদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। এসব কথিত পশুচিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি স্থানীয় পোষা প্রাণীর মালিকদের।

    এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, গ্রাম-গঞ্জে স্থানীয় যে-সব পশুচিকিৎসক রয়েছেন তারা কেবল প্রাণীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন। তাও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর কেউ যদি তা না করেন তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কারণ আমরা চাই না অপচিকিৎসার শিকার হয়ে কোনো খামারি বা গবাদিপশুর মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    মেহেন্দিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পূজা নিশ্চিত করতে মণ্ডপে মণ্ডপে ওসি মোঃ ফখরুল ইসলাম!

    মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে...