অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে পুরোদমে গান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন সংগীত তারকা তাহসান খান। যদিও তার আরও কিছু কাজ বা ইভেন্টে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে, এরপরই মূলত নিজেকে গুটিয়ে নেবেন। সে লক্ষে দেশে ফিরে চিরচেনা রূপে ধরা দিলেন তাহসান। মাইক হাতে স্টেজে দাঁড়িয়ে ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’-এর সঙ্গে গাইলেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন এই তারকা। সেখানে তাকে মঞ্চে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনুরাগীরা। অবশ্য তাদের মনে এই প্রশ্নও উঁকি দিয়েছে যে, এটাই কি তবে তাহসানের শেষ পারফর্ম হতে যাচ্ছে? অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এটি সঠিক মঞ্চ! কারণ মানুষ মঞ্চে আমার বলা কথার কেবল অংশবিশেষ নেয় এবং তা দিয়ে আরেকটি খবর তৈরি করে ফেলে।
তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয় যে আমি কী বলছি। তবে একটি বড় বিষয় বলব-অনেক বছর আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিলেন যে, সংগীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সময়কাল খুব সীমিত। কেন তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ? আমি তখন লিভার ব্রাদার্সের চাকরি ছেড়ে প্রথম অ্যালবামের কাজ ধরেছি।’ তাহসান জানান, সংগীত ক্যারিয়ারের শুরুতে তার এক ভাই বলেছিলেন-‘শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম!’ সেই কথা এল বিদায়ের সুর বাজার সময়কালেও।
তাহসান বলেন, ‘‘আমার ভাইয়ের কথা ছিল, যেকোনো শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম। তুমি এই এরিয়াতে গেলে আবার তো ফেরত আসতে পারবে? সুতরাং আমি এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলাম যে, আর্টিস্টের মেয়াদকাল কমও হতে পারে, কিন্তু আর্টিস্টকে তৈরি করা ‘আর্ট’-এর মেয়াদ তাঁর বিদায়ের পরও থাকতে পারে।” কাজ আর অবসর গ্রহণের বিষয়ে তাহসান বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে যে আমি ততটুকু সময়ই কাজ করব, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসার শিখরে থাকব, মানুষের সেই ভালোবাসাটা পাব। কারণ, আমি দেখেছি যে অন্য ক্যারিয়ারে রিটায়ারমেন্ট (অবসর) আসে।
কিন্তু এই (সংগীত) ক্যারিয়ারটায় যেটা হয়, একটা সময় মানুষ ভুলে যায়। সুতরাং ভুলে যাওয়ার ক্ষতটার চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়াই বেশি ভালো।’ নব্বই দশকের শেষদিকে ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’-এর ভোকালিস্ট হিসেবে সংগীতযাত্রা শুরু করেছিলেন তাহসান।
পরবর্তীতে একক শিল্পী হিসেবেও জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান। এরপর গড়েছেন নতুন ব্যান্ড ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। সাম্প্রতিক বছরে নিয়মিত ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’ নামেই কনসার্টে পারফর্ম করেছেন তিনি।