More

    উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসব বরিশাল কাউনিয়া আদি শ্মশানে

    অবশ্যই পরুন

    আগামী ১৯ অক্টোবর (রোববার) শ্মশান দিপালী উৎসব। ২০ অক্টোবর (সোমবার) হবে কালিপূজা। এ উৎসব ঘিরে আয়োজন চলছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দুই শতাধিক বছরের পুরোনো বরিশালের ঐতিহ্যবাহী কাউনিয়া মহাশ্মশানে। এরই মধ্যে সমাধিগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন প্রয়াতদের স্বজনরা।

    এখন চলছে রঙ-তুলির কাজ। দিপালী উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আলোকসজ্জা করা হচ্ছে গোটা শ্মশান এলাকা।

    বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি অসিম কুমার মুরালি ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় ভক্ত জানান, প্রতি বছর শ্মশান দিপালী উৎসবে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। উৎসবে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ আসে কাউনিয়া শ্মশানে। প্রতি বছর চতুদ্দশীতে প্রয়াত সজনদের স্মরণে সন্ধ্যার পূর্বে সমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন, প্রার্থনা ও প্রয়াত সজনদের প্রিয় খাবার সমাধি স্থলে প্রদান করেন তারা।

    এবছর তিথি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। তবে মোমবাতি প্রজ্বলন হবে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। তারা জানান, এত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসব সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনীর, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়া শ্মশান রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    নিরাপত্তার স্বার্থে ২০টির অধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি শ্মশানের প্রবেশ গেটে তোড়ন এবং গোটা শ্মশান এলাকায় আলোকসজ্জায় সাজানো হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় শ্মশান দিপালী উৎসব ঘিরে মেলার আয়োজন রয়েছে। এর পাশাপাশি এবার শ্মশানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে ধর্মীয় গান পরিবেশ করা হবে। আয়োজন ঘিরে স্বজনরা সমাধিগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাছ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

    জানা গেছে, বরিশাল মহাশ্মশান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রয়াত স্বজনদের স্মৃতি চিহ্ন, অন্তিম ঠিকানা। বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় এই মহাশ্মশানের অবস্থান। শ্মশানটি ২০০ শতাধিক বছর আগে ৫ একর ৯৬ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন পুরোনো মিলিয়ে মহাশ্মশানে ৬১ হাজারের বেশি সমাধি রয়েছে। এরমধ্যে ৫০ হাজারের অধিক পাকা, ১০ হাজার কাঁচা মঠ। ৮০০ মঠ রয়েছে যাদের স্বজনরা এই দেশে থাকেন না। এসব সমাধি মঠ কয়েক বছর পূর্বে থেকে হলুদ রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    স্বজন না থাকা মঠগুলোতে শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়ে থাকে। বরিশাল আদি মহাশ্মশানে অনেক গুণী মানুষের শত বছরের পুরোনো সমাধি মন্দিরের ‘স্মৃতি ফলক’ (পাথরে খোদাই করা পরিচয়) রয়েছে। যাদের বংশধর এখন দেশান্তরী।

    অশ্বিনী কুমার দত্ত, মনরমা মাসিমা. অমৃত লাল দে, ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্র নাথ, বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ বোস, ডা. হেমশঙ্কও বিশ্বাস, জঙ্গি হামলায় নিহত বিচারক জগন্নাথ পারে, বরিশালের বড় ঠাকুর বিশ্বনাথ গাঙ্গুলী, শিশির গাঙ্গুলী, পন্ডিত মনিন্দ্র নাথ সমাদ্দারসহ অসংখ্য গুণীজনের সমাধি রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ মহাশ্মশানে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পিরোজপুরে জুলাই সনদ,পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান

    পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জুলাই সনদ,পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা...