More

    নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ স্থানীয়দের হাতে ধরা ধর্মশিক্ষক

    অবশ্যই পরুন

    বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের বেলপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক রোকনুদ্দিন খানকে একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

    সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বেতগাড়ি এলাকায় একটি চক্ষু হাসপাতালের বাগানে নির্জন স্থানে তারা আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আটকের পর ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। অভিযুক্ত শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে।

    জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান বলেন, ‌‘সোমবার শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ওই ছাত্রী টিফিনের সময় বাড়ি চলে যাচ্ছিল। আমিও তখন শহরে একটি কাজে যাচ্ছিলাম। স্কুল থেকে আমরা একসঙ্গে বের হই। বেতগাড়ি এলাকায় ওই ছাত্রী বমি করে। তখন অটোরিকশাচালক তাকে নামিয়ে দেন। পরে আমি ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে চক্ষু হাসপাতালে যাই।

    সেখানে তাকে চকলেট কিনে দিয়ে সুস্থ করি। এসময় স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাদের আটকে দেন। আটকানোর পর ছাত্রীর পরিবারের কাছে বিষয়টি তারা জানান।’ তবে অসুস্থ ছাত্রীকে আশপাশের চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের ভেতরে কেন নেওয়া হলো—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান। জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে যাওয়া বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়ালিউল হাসান শিমুল বলেন, ‌‘ছাত্রীর বাবার দেওয়া সংবাদে অফিস সহকারীকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি।

    লোকজনের কাছ থেকে ঘটনা শুনে ফিরে এসে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের ঘটনা জানিয়েছি।’ প্রধান শিক্ষক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফজলুল হক বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। ধর্ম শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান আমাকে কিছু না জানিয়েই ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেছেন। ওই ঘটনা ঘটার পরও তিনি আমাকে জানাননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার।

    তার বদলিজনিত কারণে এখন আর কেউ সে দায়িত্বে নেই। আমি ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।’ এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুব হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

    শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাইফুর রহমান বলেন, এ ঘটনা আমাকে কেউ জানাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পিরোজপুরে জুলাই সনদ,পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান

    পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জুলাই সনদ,পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা...