‘বাবা হওয়ার অনুভূতি অসাধারণ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তিনি আমাকে সুস্থ সন্তান দান করেছেন’—বাবা হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রকস্টার নগরবাউল জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদের এক দশক পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস।
বিয়ের পর নামের সঙ্গে আনাম নাম যুক্ত করেছেন নামিয়া। চলতি বছরের জুনে জেমস-নামিয়া দম্পতির কোলজুড়ে আসে পুত্রসন্তান। নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম। ২০১৪ সালে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বেনজীর সাজ্জাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় জেমসের। এরপর এক দশক একা কাটিয়েছেন এই রকস্টার। ২০২৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে দেখা হয় নামিয়ার সঙ্গে। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি অনুষ্ঠানে দুজনের পরিচয় হয়, আর এই পরিচয় থেকে প্রণয় ও বিয়ে। তবে এটি কোনো কনসার্ট ছিল না, এমনকি জেমস সম্পর্কে আগে থেকে তেমন কিছু জানতেনও না নামিয়া!
পরিচয়ের এক বছর পর ২০২৪ সালের ১২ জুন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঢাকায় তাঁদের বিয়ে হয়। ২০২৫ সালের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় জন্ম হয় জিবরানের। জেমসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য তখন সঙ্গে ছিলেন। এক মাস যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের পর সন্তান নিয়ে দেশে ফেরেন তাঁরা। জেমসের তৃতীয় স্ত্রী নামিয়ার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, তিনি সেখানের জন জে কলেজ থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিসে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
পুত্রসন্তান জন্মের অনুভূতি জানাতে গিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাসলেন জেমস। এরপর কতক্ষণ দম নিয়ে বললেন, ‘এ অনুভূতি অসাধারণ! এটা আসলে কীভাবে প্রকাশ করব, সে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তবে এতটুকু বলব, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তিনি আমাকে সুস্থ সন্তান দান করেছেন। সবাই মা ও সন্তানের জন্য দোয়া রাখবেন।’ ব্যক্তিজীবনে এর আগে দুবার বিয়ে করেছেন জেমস। তাঁর প্রথম স্ত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রথি। ১৯৯১ সালে বিয়ের পর ২০০৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
২০০০ সালে বেনজীর সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় জেমসের, এরপর আমেরিকায় গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। প্রথম পরিবারে জেমসের একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আর দ্বিতীয় সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। রথি এরপর আবার বিয়ে করেন।