এক সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের পোস্টারবয় বলা হতো সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু রাজনীতিতে প্রবেশ ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সব হিসাব বদলে গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিরব থাকা ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
পরে হত্যা মামলার আসামী করা হয় তাকে, যার ফলে দেশে ফিরতে পারছেন না এই অলরাউন্ডার। জাতীয় দলে ফেরারও সম্ভাবনা নেই। ফলে জনপ্রিয়তার চূড়া থেকে ছন্দপতনও দেখে ফেলেছেন সাকিব। তবে এসব নিয়ে আক্ষেপ নেই বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের।
তার মতে, আন্দোলনের সময় দেশে না থাকাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, এটা এমন এক মুহূর্ত যা আমার বিপক্ষে চলে গেছে। কারণ তারা (সমর্থকরা) ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছিল। আমি আবার ওরকম পরিস্থিতিতে ছিলাম না, অথবা আমি পরিস্থিতি জানতাম না সত্যি বলতে।
তাই আমার জন্য কাজটা কঠিন ছিল, আমি বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলাম। ‘আমি মনে করি ঐ জিনিসটাই আমার বিপক্ষে গেছে। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা দেখে আমি একে পূর্ণ শ্রদ্ধাও জানাচ্ছি। তবে এজন্য কোনো অনুশোচনা নেই। আমার মনে হয় ধীরে ধীরে মানুষ এখন এটা বুঝতে শুরু করেছে।’ সাকিবের পরিবার আগেই আমেরিকায় থিতু হয়েছিল।
দেশে ফেরার পথ বন্ধ হওয়ার পর সাকিবও পরিবারের সাথে মার্কিন মুল্লুকে আছেন। জাতীয় দলে না থাকলেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন। সম্প্রতি খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগে। এ নিয়ে তিনি বলেন, সত্যি বলতে আমি খুব উপভোগ করেছি।
অনেক লোকাল প্লেয়ারের সাথে পরিচয় হয়েছে। অনেকের সাথে দেখা হয়েছে যাদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দেখেছিলাম, অনূর্ধ্ব-১৯ এর দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছি। ছোটবেলার মতো এমন একটা ক্রিকেটীয় পরিবেশ পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে আগের সময় কাটাচ্ছি আবার।