পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। মৃতরা হলেন- কুয়াকাটার খাজুরা এলাকার চান মিয়া ফকিরের ছেলে নুরজামাল ফকির এবং মিশ্রীপাড়া এলাকার হাবিব।
লতাচাপলি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য রাহিমা আক্তার রুপা মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, তারা প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনই মারা যান। এর আগে ১৩ অক্টোবর একই ইউনিয়নের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই নারী, এক শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। বর্তমানে মহিপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতাল, কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কলাপাড়া-কুয়াকাটা এবং মহিপুর এলাকার একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা মাইকিং ও প্রচারণা চালাচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহিপুর ও কুয়াকাটা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। কলাপাড়া হাসপাতলে কুয়াকাটা-মহিপুরের অন্তত ২০জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হামিদ বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন স্প্রে করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এলাকাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে।
