More

    ‘এই তুমি সামনে যাও, বেশি লাফাচ্ছ’, পুলিশ সদস্যকে কামরুল ইসলাম

    অবশ্যই পরুন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বারের আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার শুনানি শেষে হাজতে নেওয়ার সময় পুলিশের এক সদস্যের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এ সময় সাবেক মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই তুমি সামনে যাও, তুমি বেশি লাফাচ্ছ’। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানার সামনে আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

    সকালে কামরুল ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়। পৌনে ১১টার দিকে আদালতে তোলার জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয় তাঁকে। এ সময় তিনি ডান হাতে থাকা লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটছিলেন। চারপাশে ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ নিয়ে যায় কামরুল ইসলামকে। বেলা ১১টার দিকে কামরুল ইসলামকে অষ্টম তলায় আদালতে তোলা হয়।

    কিছুক্ষণ পর তিনি বিচারক এজলাসে ওঠেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি এ ঘটনার ইন্ধনদাতা। তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী ও নসিম চৌধুরী আদালতে ওকালতনামা জমা দেন। জামিন শুনানি পরবর্তী সময়ে করবেন বলেও জানান এই আইনজীবীরা।

    কাঠগড়ায় দাঁড়ানো কামরুল ইসলাম বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘ আমি তো আগেই গ্রেপ্তার হয়ে ছিলাম। আবার কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে?’ তখন কামরুল ইসলামের আইনজীবীরা বলেন, এটা গত ৪ আগস্টের মামলা। অনেক পুরোনো মামলা। কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো ওই সময় কারাগারে আটক ছিলাম। আচ্ছা ঠিক আছে।

    দিলে দেন।’ শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর কামরুল ইসলামকে আদালতের লিফটে নামানো হয়। লিফট থেকে নেমে হাজতের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ সদস্যরা জোরে হাঁটতে চাইলে রেগে যান সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী। লাঠিতে ভর দিয়ে আস্তেধীরে হাঁটেন তিনি। মাঝে তাঁকে কয়েকবার দাঁড়িয়ে যেতেও দেখা যায়। ওই সময় এক পুলিশ সদস্য বারবার বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছিলেন।

    তখন কামরুল ইসলাম ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘এই তুমি সামনে যাও, তুমি বেশি লাফাচ্ছ।’ ওই পুলিশ সদস্য তখন তাঁর সামনে থেকে সরে যান। পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় লাঠিতে ভর দিয়ে হাজতে ফেরেন কামরুল ইসলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে প্রিজন ভ্যান কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। কামরুল ইসলামের আইনজীবী আফতার মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটাসহ এ পর্যন্ত উনাকে ৩০টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পিরোজপুর বেলুয়া নদীতে ভাসমান সবজির হাট: কোটি টাকার লেনদেন

    ভোরের আলো যখন বেলুয়া নদীর শান্ত জলে ছড়িয়ে পড়ে, তখনই নীরবতা ভেঙে ভেসে আসে শতাধিক নৌকার ডাক। নৌকায় কেউ...