More

    বেলস পার্ক: দিনের আলোয় স্বস্তি, রাতে অশ্লীলতার রাজত্ব!

    অবশ্যই পরুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র বেলস পার্ক। যান্ত্রিক শহরের বুকে এক টুকরো সবুজের ছোঁয়া আর নির্মল বাতাস। সারাদিন চার দেয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে নগরবাসী একটু স্বস্তির খোঁজে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন এখানে। উদ্দেশ্য—বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে একটু মুক্ত বাতাস নেওয়া আর শিশুদের দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ দেওয়া। কিন্তু সেই প্রশান্তির উদ্যানই এখন ভদ্র মানুষের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দিনের আলো নিভতেই বেলস পার্কের চেহারা যেন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। পার্কের বেঞ্চ, গাছের আড়াল আর অন্ধকার কোণগুলো দখলে নেয় উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা। তথাকথিত ‘ডেটিং’-এর নামে সেখানে চলে অবাধ অসামাজিক কার্যকলাপ।

    সম্প্রতি বরিশাল ডট নিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বেলস পার্কের রাতের এই কদর্য চিত্র। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পার্কের বিভিন্ন প্রান্তে বসে থাকা যুগলরা জড়িয়ে ধরা থেকে শুরু করে নানা অনৈতিক ও আপত্তিকর আচরণে লিপ্ত। আশপাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ হেঁটে গেলেও তাদের মধ্যে নেই কোনো সংকোচ বা লজ্জা।

    পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ছোট বাচ্চা কিংবা বয়স্ক মা-বাবাকে নিয়ে এখানে হাঁটাচলাই দায় হয়ে পড়েছে। চোখের সামনে এমন অশ্লীল দৃশ্য দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে দ্রুত পার্ক ত্যাগ করতে বাধ্য হন অনেকে। এক দর্শনার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাতাস খেতে এসে যদি নোংরামি দেখতে হয়, তবে পরিবার নিয়ে যাবো কোথায়?”

    নগরীর এত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে এমন প্রকাশ্য অসামাজিকতা চললেও প্রশাসন যেন “সর্ষের মধ্যেই ভূত” হয়ে আছে। পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষীদের চোখের সামনেই এসব ঘটলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পার্কের পবিত্রতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।

    বেলস পার্ককে পুনরায় পরিবারবান্ধব ও সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত করতে অবিলম্বে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। সন্ধ্যার পর নিয়মিত টহল এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে শহরের এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।


    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পুরনো রূপে ফিরছে লাকুটিয়ার জমিদার বাড়ি

    কুয়াশায় ঢেকে থাকা সকালের আলোয় দূর থেকেই চোখে পড়ে এক পুরনো প্রাসাদ লাকুটিয়ার জমিদারবাড়ি। শত বছরের বাতাস-ধুলো পেরিয়ে দাঁড়িয়ে...