সকালটা ছিল বার্ষিক পরীক্ষার টেনশনে ভরা। কেউ শেষ মুহূর্তে নোট দেখে এসেছে, কেউ আবার মা–বাবার সঙ্গে দ্রুত বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে। কিন্তু বরিশাল সরকারি জিলা স্কুলের ফটকে ঢুকতেই টেনশন উবে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে হতাশা জেগে ওঠে।
বিদ্যালয়গুলোর ফটকে টানানো হয়েছে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ। চার দফা দাবিতে দেশের সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে আজ সোমবার শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের ফলে বার্ষিক পরীক্ষার অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরাও।
বরিশালে সোমবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করে শিক্ষকরা। তারা জানান, ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। প্রথম দফায় তারা তিনদিনের কর্মবিরতির কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। অন্যদিকে এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
নিচে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান শিক্ষকদের কর্মসূচি তুলে ধরা হলো- মাধ্যমিক শিক্ষকদের চারটি দাবি হলো
১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ।
২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।
৩. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া।
৪. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
