আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টিএমএসএস এনজিও’র কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গৃহস্থের পালিত একটি চিনাহাঁস নিয়ে গেছে ওই এনজিও। মাঠকমীর্। এঘটনায় এলাকায় চ্যাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেন’র স্ত্রী হাফিজা খানম ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ’র (টিএমএসএস) সদস্য।
ওই এনজিও থেকে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে ৬০ হাজার টাকা লোন উত্তোলন করেন হাফিজা খানম। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২শত ৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা উত্তোলন করতে আসেন ওই এনজিও মাঠকমীর্ ফিরোজ খাঁনসহ দুইজন আসেন হাফিজা খানমের বাড়িতে। এসময় হাফিজা কিস্তি দিতে অপারগতা জানান। কিন্তু ফিরোজ খান নাছোর বান্ধা, কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না।
এসময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস—মুরগী দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবী করেন। হাফিজা কিস্তির পরিবর্তে হাঁস দিতে অপারগতা জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যায়। এসময় ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ’র (টিএমএসএস) মাঠকমীর্ ফিরোজ খান ও তার সাথে থাকা সহযোগীকে নিয়ে ধাওয়া করে হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস ধরে নিয়ে যায়। এব্যাপারে ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম জানান, সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বললেও এনজিও’র মাঠকমীর্রা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়।
তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম এক হাজার ৫—৬শত টাকা হবে। আমার মেয়ে লাবিবার পালিত শখের হাঁসটি ফেরত চাই। উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদ’র সভাপতি কাজল দাস গুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোন জিনিসপত্র আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কিভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই।
কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ। অভিযুক্ত টিএমএসএস এনজিও’র মাঠকমীর্ ফিরোজ খাঁন ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম’র বাড়ি থেকে হাঁস আনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮শত টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে। এব্যাপারে টিএমএসএস এনজিও’র ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দিবে। আমার এনজিও’র মাঠকমীর্ দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।
