কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদ্রাসায় ১৩ শতাংশ জমি দান করার পরও তা বুঝিয়ে না দেওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাতার ওয়ারিশদের বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছোট বালিয়াতলী এম.এম.এ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আ.ব.ম ফায়েজ উল্লাহ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১০ শতাংশ জমিদাতা মেছের আলী খানের ছেলে আবদুল জব্বার খান, ৮ শতাংশ জমিদাতার ছেলে আবদুর রহমান খানের ছেলে শাহিন খান, ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী রউফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে আ.ব.ম ফায়েজ উল্লাহ বলেন, তিনি ছোট বালিয়াতলী এম.এম.এ দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তাকে উদ্দেশ্যে করে এবং তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় অসাদু ব্যক্তি একটি মন্তব্য করে আসছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ছোট বালিয়াতলী মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ইউসুফ আলী সিপাইর পিতা মরহুর সেকান্দার আলী সিপাই ও অন্য একজন দাতা ১৯৭৯ সালে ছোট বালিয়াতলী এম.এম.এ দাখিল মাদ্রাসায় ১৩ শতাংশ জমি দান করেন।
দান করার পর হইতে অধ্যবদি ওই জমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বুঝাইয়া না দেওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের ওয়ারিশদের বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ইউসুফ আলী সিপাইসহ তাহার দলীয় কিছু লোকজন তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মানববন্ধন করেন।
ওই মানববন্ধনে তারা উল্লেখ করেন, অবৈধভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে ও অবৈধভাবে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং ওলামালীগের সভাপতিকে ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি করা হয়েছে।
আসলে এসল অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, সরকারের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুস্বরন করে কমিটি গঠন ও অনুমোদিত হয়েছে এবং যথাযথ নিয়োগের নিময়-নীতি অনুস্বরন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কোন প্রার্থীর কাছ থেকে আদৌ কোন টাকা গ্রহন করা হয়নি। ………
