মেহেদী হাসান শান্ত, দুমকি প্রতিনিধিঃ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির মর্মান্তিক ইন্তেকালে গভীর শোক ও বেদনা প্রকাশ করছে পবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপোশহীন এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোতে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি যে সাহস, দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন—তা দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও ন্যায়, অধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁর অবিচল অবস্থান তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।
সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর এই অকাল প্রয়াণ কোনো সাধারণ প্রাণহানি নয়; বরং এটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাহসী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা। তাঁর মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিক পরিসরে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে—যা সহজে পূরণ হবার নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কিছু মানুষ কখনো সত্যিকার অর্থে মরেন না; তারা রক্ত, স্বপ্ন ও বিপ্লব হয়ে ভবিষ্যতের ভেতর বেঁচে থাকেন। এই শপথ জুলাইয়ের প্রতিটি সন্তানের—এই দেশ আর ভয় পাবে না।
শহীদ হাদি, আপনি আছেন, থাকবেন—ইনসাফের পথে, সাহসের কণ্ঠে, জুলাইয়ের শপথে। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে মরহুম শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এই অমর সৈনিককে মহান আল্লাহ তায়ালা শহিদ হিসেবে কবুল করুন—এই প্রার্থনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাঁর শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা, সহপাঠী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁদের সবাইকে এই অপার শোক সহ্য করার শক্তি ও ধৈর্য দান করুন। আমিন।
