More

    বরিশালে স্ত্রী স্বীকৃতি দাবীতে কলেজ অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে যুবতীর সংবাদ সম্মেলন

    অবশ্যই পরুন

    চাকুরী দেয়ার পাশাপাশি বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর এক যুবতীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে বাকেরগঞ্জ কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ’র অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম।

    খোঁজ খবর না নেয়ার পাশাপাশি বর্তমানে ওই যুবতীকে না চেনার ভান ধরেছে অধ্যক্ষ। বাকেরগঞ্জ থানায় আইনের আশ্রয় না পেয়ে ৯ জুন মঙ্গলবার বেলা বারোটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই উপজেলার ৭নং কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের আঃ ওহাব আকন এর মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২১)।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ একাধিক ব্যক্তি। অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম এর সাথে গত দেড় বছর আগে তার পরিচয় হয়।

    ফাতেমা তখন বাকেরগঞ্জ মাছুয়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী পদে কর্মরত ছিল। পরিচয় হওয়ার পরই অধ্যক্ষ সহিদুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফাতেমাকে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দেয়।

    চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ফাতেমার মুঠোফোন নম্বর নেয় অধ্যক্ষ। ফোন তাদের দু’জনের কথা হয়। একপর্যায় অধ্যক্ষ সহিদুল দু’বছর পর ফাতেমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং কুয়াকাটা-পটুয়াখালির আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন সময় একত্রে রাত্রীযাপন করে।

    মাস কয়েক পূর্বে ওই অধ্যক্ষ’র ওরষের সন্তান ফাতেমার গর্ভে আসে। বিয়ের আগে সন্তান নিবে না। এমন কথা বলে ফাতেমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে সহিদুল। সন্তান নষ্ট করার পরপরই তাদের সম্পর্কের সকল তথ্য প্রমাণ ফাতেমার নিকট থেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সহিদুল।

    তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার জন্য বর্তমানে ফাতেমা গৃহহারা। থানা পুলিশের কাছে পাইনি আইনের আশ্রয়। বরিশালে বড় এক বোনের বাসায় থেকে সুষ্ঠুবিচার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ করছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুবিচার না পেলে সে আত্মহত্যা করবে বলে ব্যক্ত করেন।

    অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ ৯নং কলসকাঠি ইউনিয়নের কোছনগর গ্রামের আঃ রশিদ মাতুকবরের ছেলে। জীবনের সবকিছু হারানোর পর ফাতেমা জানতে পারে অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম’র ২ সন্তানসহ এক স্ত্রী রয়েছে। যা ফাতেমার কাছে গোপন রেখেছিল।

    তার স্ত্রী কলেজের একজন লেকচারার। নাম সালমা আক্তার মুন্নি। প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুষ্ঠুুবিচার চায় ফাতেমা।

    অন্যদিকে বিষয়টি সম্পর্কে মুঠোফোনে অস্বীকার করেছে অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা জানান, অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম এর স্ত্রীর মর্যাদা চায় সে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে প্রসূতি নারীর মৃত্যু: চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ স্বামীর

    বরিশাল নগরীর আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত নারীর নাম তানজিলা আক্তার, তিনি...