ভোলার লালমোহন উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ঢুকে গেছে মরণ নেশা ইয়াবা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য। মদ গাঁজা থেকে শুরু করে এমন কোনো নেশাদ্রব্য নেই যা লালমোহনে পাওয়া যায় না। অভিনব কায়দায় পাতি নেতারা ইয়াবার বাণিজ্য করে রাতারাতি কাঁচা টাকার মালিক হচ্ছেন। আর অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে উঠতি বয়সের তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। সাম্প্রতিক সময়ে লালমোহন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের এমন ভয়াবহ বিস্তার ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনও হিমসিম খাচ্ছে বলে জানাগেছে।
লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) বশির আলম জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেয়ার পর লালমোহন উপজেলায় বিশেষ অভিযান শুরু হয়। দিনে রাতে অভিযান করে আড়াই বছরে অন্তত পৌনে তিন’শ মাদক ব্যবসায়ীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিন হাজার পিস ইয়াবা এবং দশ কেজির উপরে গাঁজা। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে প্রায় আড়াই’শ। এছাড়া লালমোহনের যাত্রিবাহী লঞ্চ এম,ভি শ্রী নগর, লালমোহন শহরের জাফর কনফেকশনারী এবং মা কনফেকশনারী থেকে সাম্প্রতিকালে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমান হুইস্কি এবং বিয়ার। সূত্র জানিয়েছে, ছোট্ট একটি উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী আটকের ঘটনায় খোদ পুলিশ প্রশাসনের লোকজনই বিস্মিত !
সূত্র জানায়, মাদক উদ্ধার অভিযানে গিয়ে বিভিন্ন সময় পুলিশ ও ডিবি’র লোকজন মারও খেয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে। গত ২৫ আগস্ট লালমোহন পৌরসভার চরছকিনা গ্রামে ইয়াবার চালান ধরতে গিয়ে এলাকার ইয়াবা সম্রাট এবং ১০ মামলার আসামী মিরাজ বাহিনীর হাতে রক্তাক্ত জখম হন ভোলার ডিবি পুলিশের সদস্য কাওছার। এর আগে গেলো বছর লালমোহন হাইস্কুলের গ্যালারী সংলগ্ন স্থানে ইয়াবা ব্যবসায়ী ধরতে গিয়ে হাত ভাঙে লালমোহন থানা পুলিশের এ,এস,আই জাহের শামিমের।
সচেতন মহলের অভিমত ; এই অবস্থা কঠোরভাবে দমন না করলে অদ‚র ভবিষ্যতে লালমোহনের সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সমুন্নত আইন শৃংখলার পরিবর্তে দেখা দেবে চুরি ডাকাতি সহ নানান ধরনের অপরাধ।