বরগুনার বেতাগীতে এক ইউপি বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ভূয়া নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলন এবং বিধবা , বয়স্ক ও জেলে ভাতার নাম দেওয়ার নামে এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকার সংশ্লিষ্টজনদের নিকট জানা গেছে, উপজেলার ১ নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেন তাঁর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সৈয়দ মনির হোসেন তাঁর স্ত্রী’র নাম মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ডে অর্ন্তভুক্ত করেন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ৫২ তম ব্যাচের ১৭ নং ক্রমিকে নাসিমা বেগমের নাম। ইউপি সদস্য রিয়াজ ও নাসিমা বেগমের স্বামী মনির হোসেন মাতৃত্বকালীন ভাতার ১৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন এবং ভাগাভাগি করে নেন।
ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, জেলে কার্ড ও টিউবওয়েল দেওয়ার নামে এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওবায়দুল হকের প্রতিবন্ধী নাফিয়া আক্তার (১২), হাকিম মিয়া’র প্রতিবন্ধী ছেলে হাসান (৩০) এর ভাতার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।
এ বিষয় ওবায়দুল হক বলেন,‘ আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার ৯ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন করে মাত্র আমাকে ২ হাজার হাতে দেন এবং বাকি টাকা রিয়াজ মেম্বার নিয়েছেন।
ইউপি সদস্য বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে জনস্বার্থে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেণ ওই একই ওয়ার্ডের সচেতন বাসিন্দা মো. রুহুল আমিন। অভিযোগকারী রুহুল আমিন বলেন,‘ আমার আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ভাতা কার্ডে নাম অন্তভুিক্তর জন্য অবৈধভাবে টাকা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেন বসেন, ‘ আমি কোন টাকা নেইনি। মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা যিনি কার্ডধারী তিনিই উত্তোলন করেছেন এবং ওই সময় আমি ঢাকা ছিলাম। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা নাটক করা হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান বলেন,‘ নাসিমা আক্তারের নামে মাতৃত্বকালীন ভূয়া টাকা উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,‘ ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যতার প্রমান পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।