বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে ‘কারচুপি ও ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহামুদ। পাশাপাশি তিনি ভোট পুর্নগণনার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে গৌরনদী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বিজয়পুর এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।
সুমন ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। উটপাখি প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান শামিম। তিনি ২৮ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুমন মাহামুদ অভিযোগ করেন, শনিবার নির্বাচনের শুরু থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান শামিমের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামেন। তারা সুমনকে হারাতে কাজ করেছেন। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাকে হুমকিও দেয়া হয়। এরপরও কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।
সুমন মাহামুদ বলেন, ‘৬নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র ছিল গৌরনদী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হলেও গণনায় কারচুপি করা হয়। ভোট গণনার সময় প্রশাসন জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে তাকে বের করে দেন। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা গণনায় কারচুপি করেন। তারা উটপাখি প্রতীকে সিল থাকা ৬৬টি ভোট বাতিল করেন। এসময় আমার এজেন্ট প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় ভোট গণনার কথা বললে সেখানে থাকা প্রশাসনের লোকজন তাকে হুমকি দেন। পরে ২৮ ভোটের ব্যবধানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আতিকুর রহমান শামিমকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় আমি আবারও ৬নং ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় ভোট গণনা করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’