মাদারীপুরের কালকিনিতে যৌতুকের দাবিকৃত ৩ লাখ টাকা পরিশোধে চাকরি করতে চাওয়ায় গৃহবধূ সাদিয়া আক্তারের দুই চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চলিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ৯৯৯ খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার ওই নারীকে। সোমবার (১৫ মার্চ) তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ।সাদিয়া মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের কৃষক বারেক চৌকিদারের মেয়ে। অভিযুক্ত একই উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার গুঙ্গিয়াকুল গ্রামের কাসেম মোল্লার প্রবাসী ছেলে নাসির মোল্লা। এ ঘটনায় রবিবার আহতের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে নাসির মোল্লাসহ ৮ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন।
সাদিয়া জানান,বছর খানেক আগে সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাসির মোল্লার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই সময় ২ লাখ টাকা যৌতুক দিলেও পরে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়।ওই টাকা দিতে না পারায় এবং পড়াশোনা ও চাকরি করতে চাওয়ায় প্রায়ই নির্যাতন চলতো তার ওপর। এর প্রতিবাদ করলে শনিবার ঘরে আটকে রখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি তার মা জানতে পেরে অভিযোগ করে ৯৯৯ এ। এতে খেপে ওইদিন দুপুরে মারধর করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।মামলার বাদী বলেন, আমার যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে দিনের পর দিন মারধর করতো। এক পর্যায়ে নাসিরের পরিবারের লোকজন মিলে আমার মেয়ের দুই চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায়। আসামিদের গ্রেফতারসহ বিচার দাবি করেন তিনি।এ ব্যাপারে ডাসার থানার এসআই রিপন মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করি। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।