পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বিপাড়া (সাধুর ব্রিজ) আশ্রয়ণ এলাকায় দুইটি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ও অপর দুটি কুকুরছানাকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরগির বাচ্চা খাওয়ার অভিযোগে ক্ষিপ্ত হয়ে সোনিয়া বেগম নামের এক নারী লাঠি দিয়ে ৪টি কুকুরছানাকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুইটি কুকুরছানা মারা যায় এবং অপর দুইটি গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্য বায়েজিদ মুন্সি একটি আহত কুকুরছানাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং পরে সেটিকে দত্তক নেন। এ বিষয়ে বায়েজিদ মুন্সি বলেন, নিরীহ প্রাণীর ওপর এমন নিষ্ঠুরতা খুবই দুঃখজনক।
আমরা চেষ্টা করছি আহত প্রাণীগুলোর পাশে দাঁড়াতে। সমাজে প্রাণীর প্রতি মানবিক আচরণ গড়ে তোলা জরুরি। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ফাতিমা বলেন, নিরীহ প্রাণীর ওপর এভাবে নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। স্থানীয় বাসিন্দা সত্তার হাওলাদার বলেন, মুরগি খেয়েছে বলেই প্রাণীকে পিটিয়ে মারা অমানবিক কাজ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। এনিমেল লাভারস সংগঠনের সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, প্রাণীর ওপর এ ধরনের সহিংসতা সমাজের জন্য ভয়ংকর বার্তা দেয়। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোনিয়া বেগম বলেন, আমার দুটি মুরগির বাচ্চা খেয়ে ফেলায় রাগের মাথায় এমনটা করেছি। আগেও আমার মুরগির বাচ্চা খেয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা প্রাণী কল্যাণ কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ খান বলেন, প্রাণীর ওপর নির্যাতন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে। মহিপুর থানার ওসি মো. মহব্বত খান আরও বলেন, কুকুরছানা পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
