বরিশাল মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাওলাদারের নেতৃত্বে তিনটি বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আমানতগঞ্জ (ঝাপ) এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেহেদী হাসান, আব্দুর রশিদ ও মোঃ জাহাঙ্গীরের বসতঘর এবং বিত্তহীন সমবায় সমিতি অফিসে হামলা ভাঙচুর শেষে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে বিসিসি কাউন্সিল তৌহিদুল ইসলাম বাদশা উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে কাউন্সিল বাদশা চলে গেলেই শুরু হয় হামলা ও লুটপাট। এতে নেতৃত্ব দেন শ্রমিকলীগ নেতা শামীম হাওলাদার, ঝুনু শরিফ, শাহ আলম, মোস্তফা, রনি, খোকন, সিরাজ, মিরাজ, আনোয়ার, রফিক ও জুম্মানসহ প্রায় অর্ধশত লোকের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে এ সময় তারা হামলা শেষে বাসার মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ কল করলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। এরপর কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’
৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাওলাদারের নিকট তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে আমরা ৪ জনের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তখন তারা উল্টাপাল্টা বলায় তাদের ঘরদুয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সেখানে কাউনিয়া থানার ওসি সাহেব এসে মিমাংসার কথা বলেছে। তবে কোন লুটাপাট হয়নি বলে দাবি করেন শামীম।
- এ বিষয়ে বিসিসি কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা বলেন, তর্ক বিতকের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে কাউনিয়া থানার ওসি সাহেব এসে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলেছেন।’