More

    নির্দেশ অমান্য করে শেবাচিম হাসপাতালের ১০টি ওয়ার্ডের ইনচার্জ বহাল তবিয়তে!

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের কতিপয় নার্স দীর্ঘ বছর হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়ার্ডের ইনচার্জের দায়িত্ব ছাড়ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করে এসব নার্স এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

    এরা হলেন- লেবার ওয়ার্ডের ইনচার্জ শাহানাজ, মেডিসিন ইউনিটের ইনচার্জ সাধনা বিশ্বাস ও ইনচার্জ হোসনেয়ারা নাসিমা, ইনসেটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিউ) ইনচার্জ ফরিদা বেগম, আইসোলেশন ওয়ার্ডের ইনচার্জ জাহানারা বেগম, নাক-কান-গলা (ইএনটি) পুরুষ ওয়ার্ডের ইনচার্জ কুলসুম বেগম, ইন্ডোসকপির ইনচার্জ মনিকা, গাইনী অপারেশ থিয়েটারের (ওটি) ইনচার্জ নাসরিন আক্তার, জেনারেল ওটি’র ইনচার্জ সাহিদা পারভীন ও ইএনটি ওটি’র ইনচার্জ হাচিনা বেগম। এ ছাড়াও একাধিক ইনচার্জ রয়েছে যারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানছে না।

    অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ বছর ইনচার্জের দায়িত্বে থাকার কারনে এসব নার্স স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে। রোগীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ করছে। এমনকি ওষুধ চুরি সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে তারা বাহিরে বিক্রি করছে। তবে হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সেলিনা আক্তার এ বিষয়ে কোনরকম মুখ খুলতে চাইছেন না। সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আপনি(প্রতিবেদক) বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে আলাপ করুন।’

    এদিকে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে আইসিউ ওয়ার্ডের ডা. নাজমুলের সাথে গভীর সখ্যতা থাকার কারনে নার্স ফরিদা কারও কথা শুনছে না। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘ ৪ বছর একই ওয়ার্ডের ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছে ফরিদা। ফরিদাকে চার্জ ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হলেও আইসিইউ ওয়ার্ডের ডা. নাজমুলের সুপারিশে ফের তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

    জানা গেছে,সম্প্রতি আইসিউ ওয়ার্ডের চার্জের দায়িত্ব বুঝে নেয় কর্মঠ নার্স শাহানাজ পারভীন। কিন্তু শাহানাজ পারভীনকে কোনভাবে ওয়ার্ডের বুঝিয়ে দেয়নি ফরিদা। এমনকি ফের শাহানাজ পারভীনের কাছ থেকে চার্জের দায়িত্ব কেড়ে নেয় ফরিদা। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহানাজ পারভীন। এদিকে ফরিদাকে চার্জ ছেড়ে দেওয়ার জন্য যতবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ঠিক ততবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ডা. নাজমুলের সুপারিশ ছিল ব্যতিক্রম। ডা. নাজমুলের লিখিত ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, ফরিদার মত এক্সপার্ট নার্স ওয়ার্ডে আর কেউ নেই! তাই ফরিদা চার্জের দায়িত্বে বহাল থাকবে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নার্স বলেন, ফরিদা এই ওয়ার্ডে যোগদান করার পর থেকে কখনও রাতের শিফটে ডিউটি করেনি। তাহলে ফরিদার মত এক্সপার্ট নার্স ছাড়া ইভেনিং ও নাইট শিফটে আইসিইউ ওয়ার্ড চলে কিভাবে। করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ ওয়ার্ডে যেসব নার্স ডিউটি করছেন, তাহলে তারা কী নন-এক্সপার্ট ? হাসপাতালের শতাধিক নার্সদের মধ্যে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    তবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে চার্জের দায়িত্বে বহাল থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরী

    ভোলার লালমোহনে ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সবেক সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ...