বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তনু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সরকারি আয়রণ ব্রীজের পুরাতন লোহার মালামাল আত্মসাত করে বিক্রির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন।
মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিক উজ জামান তনুও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারপরও আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও নিখুঁতভাবে তদন্ত করবো। বরিশাল ক্রাইম নিউজে সংবাদ প্রকাশের পরপরই এই তদন্ত শুরু হয়।
প্রসঙ্গত- গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে তালতলী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শামীম পাটোয়ারী ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ বশির জোমাদ্দার এবং চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব সিদ্দিকুর রহমান মিলে সেই মালামাল বিক্রি করে। পরে গাড়িতে করে নেয়ার সময় তালতলী বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ কামাল জোমাদ্দার সরকারি মালামাল ও গাড়ি আটকে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে মালামাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চালক বেল্লাল একটি টমটম যোগে ওই মালামাল নিয়ে তালতলী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। বেলা ১১টার দিকে তালতলী বাজারের বাসিন্দা মোঃ কামাল জোমাদ্দার মালামালসহ টমটমটি আটক করে। এসময় বেল্লাল জানায় মালামালগুলো চেয়ারম্যান তনুর কাছ থেকে সস্তায় ক্রয় করেছেন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী বশির। তখন বেল্লাল মুঠোফোনে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে চেয়ারম্যান সেখানে থাকা লোকজনের উপস্থিতিতে মালামালগুলো বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন এবং মালামালসহ বেল্লালকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হন।তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বেল্লাল মালামালগুলো চেয়ারম্যানের কাছে ক্রয় করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশ প্রশাসনের সামনেই বিক্ষোভ করে বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন। এ সময় মোঃ কামাল জোমাদ্দারের সহায়তায় পুলিশ ওই মালামালগুলো জব্দ করেন।