More

    বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সারার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মালিহা ফরিদী সারা (২০) নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

     

    রোববার (৯ মে) দুপুরে সারার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

     

    সারা বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনসী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে।

    তিনি বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার তিন নম্বর লেনের একটি ভবনের (হোল্ডিং নম্বর ৪০৮) দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজে লেখাপড়া করতেন। সারা ওই ভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

     

    কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে মালিহা ফরিদী সারাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

     

    সেখানে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। আজ দুপুরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, সারার মৃত্যু রহস্যজনক। তার স্বজন ও নগরীতে যে বাসায় থাকতেন সেই বাড়ির মালিক এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর আমতলা মোড় এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. ইমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সারার।

    এ কথা জানার পর পুলিশ ইমনের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা পুলিশকে জানায়, শনিবার রাতে সারা তাদেরকে ফোন দিয়ে জানান তিনি (সারা) খুব অসুস্থ। এরপর রাত দেড়টার দিকে তারা সারার ফ্লাটে এসে তাকে নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করেন।

     

    সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তবে তখন তারা সারার বাবাকে কিছুই জানাননি। সকালে তারা সারার বাবাকে ফোন দিয়ে জানান তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    ওসি নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ইমনের বাবা-মায়ের আচরণ সন্দেহজনক। তারা অসংলগ্ন কথা বলছেন। তারা পুলিশের কাছে কোনো কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া সারার গলায় ও পিঠে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।

     

    এ থেকে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি সারার বাসার আশপাশে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে- শনিবার রাতে সারা তার বাসার সামনে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন। কিন্তু এসব কথা ইমনের বাবা-মা পুলিশকে জানাননি।

    ওসি নুরুল ইসলাম আরও বলেন, সারার বাবা বয়স্ক মানুষ। তিনি তার মেয়ের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ কারণে তার কাছ থেকে খুব বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

    তবে পুলিশ সারার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। সারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, না আত্মহত্যা করেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

    বরিশালে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে ছাত্রদল। পুলিশ তাকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। শনিবার...