ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজি ও শ্রমিককে মারধরের মামলায় রিপন মাঝি নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা ঘেরাও করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুরে নেতাকর্মীরা দলে দলে এসে থানার সামনে জড়ো হতে থাকে এবং তারা একপর্যায়ে রিপনকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
এর আগে রিপনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের একটি টিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রিপনকে গ্রেপ্তারের খবরে সোমবার (১৭ মে) দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাশিপুর চৌমাথা এলাকায় বিমানবন্দর থানার সামনে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা থানার প্রবেশ পথে আটক আওয়ামী লীগ কর্মী রিপনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এবং রিপনকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা শাখার সদস্য গোলাম রসুল বাদী হয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে এক নম্বর আসামি রিপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদসহ তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন নামে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এই মামলার ২ নম্বর আসামি রাফসানের বাবা জসিম উদ্দিন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বরিশালটাইমসকে জানান, মামলার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় রিপনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে কিছু লোকজন থানার সামনে জড়ো হয়েছিল। তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার রিপনকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, জানান ওসি।
তবে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা সাংবাদিকদের বলছেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী রিপনকে মিথ্যে মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার মুক্তির দাবি জানিয়ে কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। এবং দ্রুত মুক্তি দেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ওই নেতা।’