ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. সবুজ (২৪) নামের এক যুবককে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরে গুরুতর আহত যুবক সবুজ সংজ্ঞাহীন হয়ে পরলে হামলাকারীরা ওই যুবককে তার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ফেলে রেখে যান। বুধবার রাতে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে। স্বজন ও পথচারীরা নিজ বসত বাড়ির সংলগ্ন স্থান থেকে গুরুতর আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত ১২ টায় চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবুজ জানান, বুধবার ঘটনার রাতে তিনি তার একই গ্রামের বোন তানিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় ওই গ্রামের আবদুস সালাম চকিদারের ছেলে রিয়াজ তাকে বোনের ঘর থেকে ডেকে বাড়ির বাহিরে নিয়ে যান। তিনি কিছু উঠার আগেই রিয়াজসহ পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সালাম চকিদার তার ছেলে ফিরোজ, শাহ আলম ও বাবুলসহ কয়েকজন তার মুখ ও হাত-পা বেধে তাকে সালম চকিদারের বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে তাকে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এতে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পরেন।
আহত যুবকের বোন জামাতা নুরুল ইসলাম জানান, তার শ্যালক সবুজ ও তিনি প্রতিবেশী একই গ্রামে বসবাস করেন। ঘটনার রাতে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার শ্যালক সবুজকে রাস্তার পাশে সংজ্ঞাহীনবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। তার ডাক চিৎকারে অপর পথচারী ও স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত সালাম চকিদার জানান, ওই যুবক রাতে আমার বাড়িতে গেলে চোর সন্দেহে তাকে আটক করা হয়। পরে তার ছেলেরা তাকে মারধর করেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে এ ঘটানা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ ব্যপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’