পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের অন্তর্গত ভূইঁয়ার হাট খ্যাত একটি স্থানীয় বাজারের ঘাটের জায়গা দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।তিনি ভরিপাশা গ্রামের ০৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নাম সহিদ সিকদার।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের অভিযোগ হাটটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় পণ্যসামগ্রী আমদানির একমাত্র উপায় নৌপথ। বরিশাল,কালাইয়া ও কালিশুরী, থেকে মালামাল নৌপথে আসলে উঠা-নামানোর জন্য একটি মাত্র ঘাট এটি।
ঘাটের জায়গা প্রশস্ততার দিক থেকে অপ্রতুল তাই মালামাল খালাস করতে অনেক কষ্ট হয় বলে জানায় ঘাটের সর্দার মোঃ মামুন সওদাগর।
স্থানীয় কতিপয় দোকানদার জানায়, আমাদের অজু-গোসল ও ধোয়া মোছার কাজে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটছে এমনকি প্রশস্ততা কম হওয়াতে আমরা সরকারিভাবে পাকা ঘাট পাচ্ছি না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল বশার, মিজানুর রহমান, সামসুল হক, সাইফুল ভূইয়া, রেজাউল মুন্সী, শাওন সিকদার, আনিচ ফরাজি, হোসেন ফরাজি,বাকিবিল্লাহ, সাইফুল মুন্সী,ফরিদ সিকদির জানায়, আমাদের তিন মাস আগের অভিযোগের ভিত্তিতে বাউফল সহকারি ভূমি কমিশনার আনিচুর রহমান বালী শহিদ সিকদারের পিছনের টিনসেটের ঘরটি ভেঙে দেন এবং পরবর্তীতে শহিদ সিকদার সরকারি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় ঘর তোলেন। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ বলেন জনস্বার্থে জায়গাটি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাকে আমরা বারবার অনুরোধ করলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। আমরা যাতে ঘাটটি পুনঃবহাল রাখতে পারি সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে শহিদ সিকদার প্রতিবেদককে জানায়, যেহেতু সবাই সরকারি খাস জমি দখল করে দোকানঘর নির্মান করছে এজন্য আমিও করেছি। আমি ঘাটের জায়গা রেখেই ঘর নির্মান করছি। উপজেলা প্রশাসন তার নির্মিত ঘর ভেঙে দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেও পরে সে সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভেঙ্গে দিয়েছিল তারপর আবার আমি ঘর ঠিক করেছি এতে দোষের কি আছে?
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী ভূমি কমিশনার আনিচুর রহমান বালী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা অভিযান চালিয়ে ঘরের কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছিলাম ঘরে অনেক মালামাল ছিল যার জন্য পুরো ঘর ভাঙ্গতে পারিনি। আমরা তাকে এক সপ্তাহের সময় দিয়ে এসেছি। যদি ঘর না সরিয়ে থাকে তাহলে আমরা আবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।