বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত তিনজন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ৩০১ জনের। এবং নতুন করে ১৮১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ১৯৯ জনে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস সোমবার দুপুরে বরিশালটাইমসকে জানান, আক্রান্ত ১৭ হাজার ১৯৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮১ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ছয় রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ১১ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন শনাক্ত ৭২ জন নিয়ে সাত হাজার ৬৪১ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১০ জন নিয়ে দুই ৪৩৬ জন, ভোলা জেলায় নতুন ১২ জন নিয়ে মোট শনাক্ত দুই হাজার ৩৭ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৪৬ জন নিয়ে মোট দুই হাজার ৭৯ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ১৮ জন নিয়ে মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৯৫ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ২৩ জন শনাক্ত হওয়ায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১১ জন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় গোপালদী এলাকার ৬০ বছর বয়সি তাসলিমা ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৫ বছর বয়সি শহিদুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া শহিদুল ইসলাম কলাপাড়া নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনা ইউনিটে ২৪ জন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি ৫ জন এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনসহ মোট ৬ জন মৃত্যুবরণ করেন।
করোনা ওয়ার্ডে এখন ১১৮ রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ এবং ৯৫ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যার মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তার আগের শনিবার এই ল্যাবে মোট পরীক্ষা করেছিলেন ১৮৮ জন। যার মধ্যে ৪৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , বরিশাল বিভাগে সর্বপ্রথম ২০২০ সালের ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।