ইসরায়েলের অতি সুরক্ষিত কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ব্যাপক বিক্ষোভ করা হয়েছে।চলতি সপ্তাহে দখলদার দেশটির গিলবয় কারাগারের চত্বরে গর্ত খুড়ে ছয় ফিলিস্তিনি পালিয়ে যান। তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদ ও একজন ফাতাহ আন্দোলনের সদস্য।-খবর রয়টার্স ও মিডল ইস্ট আইয়ের
এতে ফিলিস্তিনিদের উৎসাহ যেমন বেড়েছে, তেমনই ইসরায়েলকেও সতর্ক হতে হচ্ছে। তবে এসব ফিলিস্তিনির প্রাণ নিয়ে শঙ্কায় দিন পার করতে হয়েছে পরিবারগুলোকে। তারা জানেন না, তাদের স্বজনরা কোথায় এবং কীভাবে আছেন।
ওই ছয় ফিলিস্তিনিকে ধরতে তল্লাশি বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু তাদের পক্ষ সমর্থন করে রামাল্লা, বেথেলহেম, হেবরন ও পশ্চিমতীরে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে তারা ‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা’ বলে স্লোগান দেন।
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা ২৫ বছর বয়সী জিহাদ আবু আদি বলেন, দখলদারদের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি জানাতে আমরা জড়ো হয়েছি। আমাদের বিরোচিত বন্দিদের জন্য অন্তত আমরা বিক্ষোভ তো জানাতে পারি।ইসরায়েলি কারাগারে আটক ভাইদের ‘নায়ক’ হিসেবে বিবেচনা করেন ফিলিস্তিনিরা। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য তারা দখলদার ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই কারাবন্দি হয়েছেন।এদিকে বুধবার সকালে পলাতক ফিলিস্তিনিদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। পলাতকরা হলেন, আল-আকসা মার্টায়ারস ব্রিগেডসের সাবেক কমান্ডার জাকারিয়া জোবাইদি, মাহমুদ আবদুল্লাহ আরদাহ, মোহম্মদ কাসেম আরদাহ, ইয়াকুব মাহমুদ কদর, আয়হাম নায়েফ কামানজি, মান্দিল ইয়াকুব নেফায়েত।
মান্দিল ইয়াকুব নেফায়েতের ভাই নাদিল বলেন, ছয় কারাবন্দির পলায়নের খবর শুনে আমার ঘুম ভেঙেছে। যাদের মধ্যে আমার ভাইও রয়েছে। তিনি সাড়ে ছয় বছর ধরে কারাবন্দি ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ ছয় বন্দিকে সুরক্ষা দেবেন বলে আশা করছি।
তার মা বলেন, কারাগার থেকে ছেলের পলায়নের খবর শোনার পর থেকে তিনি ঘুমাতে পারছেন না। সন্তান নিরাপদ আছে কিনা; নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি খাবেন না কিংবা পান করবেন না।
এই নারী বলেন, বহুদিন ধরে তাকে আমি দেখতে পাইনি। তার কণ্ঠ শুনতে পাইনি। তাকে খুব মিস করি। তাকে নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে।