বরিশার নিউজ ডেস্ক: মসজিদের দ্বিতীয় তলায় উঠতে একটি প্রশস্ত সিঁড়িও আছে। সিঁড়ির নিচে দুটি বাঁধানো কবর। কিন্তু এ কবর দুটি কাদের সেটা আজও জানা যায়নি।
মসজিদের সামনে ও পেছনে দুটি বিশালাকার দিঘি। প্রায় প্রতিদিনই মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন দর্শনার্থীরা।
মসজিদ দেখতে আসা জিহাদ বলেন, মসজিদটি আকারে ছোট হলেও দেখতে বেশ সুন্দর। প্রতিটি নিদর্শন চোখে পড়ার মতো। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে এলাম। সত্যিই মসজিদটির নান্দনিকতা যে কারও নজর কাড়বে।’
ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থী রনি বলেন, অনেক দিন ধরে মসজিদটি দেখতে আসবো আসবো করে আসা হয়নি। তাই এবার বন্ধু ও পরিবারের কয়েকজন মিলে চলে এসেছি। মসজিদটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ছবিতে দেখতে যেমন, বাস্তবেও ঠিক তেমন।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ শাহরিয়ার বাবু বলেন, মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। তবে মসজিদে প্রবেশের পথটি একটু খারাপ হওয়ায় লোকজনের আসতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিগগির রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন দেখাশোনা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা বারেক হাওলাদার বলেন, মসজিদটি বরিশাল অঞ্চলের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ১৮০০ শতকে নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়।
সম্প্রতি মসজিদটি রং করা হয়েছে এবং এটির মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে। কিন্তু মসজিদটিতে প্রবেশের একমাত্র সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক।
সংস্কারের অভাবে দিন দিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কটি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।
বরিশাল নিউজ/এসএলটি