বরিনশাল নিউজ ডেস্ক : তীব্র শীত আর কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে বরিশালের নিম্নশ্রেণীর মানুষ। গত কয়েকদিনে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমছে। ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতে ভোগান্তি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ভর দুপুরেও গরম কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করছে স্থানীয়রা।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত থেকে রক্ষা পেতে যে যার মতো গরম পোশাক পড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। মাঘের শীতের এই দাপট চলবে আরো দিন দুয়েক। রাত ১২টার পরপরই ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা দক্ষিণাঞ্চল। সকাল বেলা ছিল মেঘে ঢাকা এমন অবস্থা। ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন শীতজনিত রোগে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অসিত বরণ জানান, ঠান্ডায় শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডিপথেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।
মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, ‘শীতের কারণে বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চর্মরোগ বেড়ে গেছে।
দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারনে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারনা করছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
শনিবার রাত ৯টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী এলাকার লঞ্চঘাট এলাকার বেশকিছু ছিন্নমূল পথশিশুদের দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা।
ছিন্নমূল পথশিশু মেহেদী হাচান জানায়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় তেমন কোনো কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না।
নথুল্লাবাদ এলাকার ফল ব্যবসায়ী আজম হাওলাদার রানা জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বাইরে লোকজনের চলাফেরা কমে গেছে। ফলে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। স্কুল-কলেজেও উপস্থিতি কমে গেছে।
বরিশাল নিউজ / এসএলটি