More

    চরফ্যাশনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল নিউজ ডেস্ক: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউপিসহ উপজেলার তিন ইউপিতে আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আনীল কমল ইউপিসহ জিন্নাগড় ও আমিনাবাদ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।

    চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে হিসাবে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন অভিযোগ বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেনের এজেন্টদের মারধর, তাঁদের বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর ও কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

    তিনি  বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসেন হাওলাদারের লোকজন হামলা ও বাধা দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

    ইকবাল হোসেনের অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নের চর নুরুল আমিন এইচ আর ডি মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাঁর সাতজন এজেন্ট থাকার কথা।  সকালে এজেন্টরা মাইক্রোবাসে করে কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের আলমের বাড়ির সামনে আলমগীর হোসেনের লোকজন মাইক্রোবাসের পথরোধ করে তাঁর এজেন্টদের মারধর করেন।

    এতে মো. কামাল হোসেন, নুরুন্নবী, মো. সালাউদ্দিন আহত হন। একপর্যায়ে আলমগীর হোসেনের লোকজন মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করেন এবং তাঁদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেন।

    চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন তাঁর ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর নুরুল আমিন লতিফিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নীলকমল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের হাত থেকে স্লিপ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলে চড়–থাপ্পড় মেরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

    অন্য দিকে ,আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসেন হাওলাদার বলেন,পরিস্থিতি শান্ত। ভোটাররা স্বাভাবিকভাবেই আসবেন। কাউকে হুমকি–ধামকিও দেওয়া হচ্ছে না।

    চর নুরুল আমিন এইচ আর ডি মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আহাসান তাওহীদ বলেন, সকাল নয়টা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের প্রার্থীর কোনো এজেন্ট এখানে ছিলেন না। তাঁরা কোনো কাগজপত্রও দেননি। তবে সোয়া নয়টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন কেন্দ্র এসে এজেন্ট দিয়ে গেছেন।

    অভিযোগের বিষয়ে বলেন,  কেন্দ্রের বাইরের কী ঘটনা ঘটেছে, সেটা তিনি জানেন না। তবে কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, চর নুরুল আমিন এইচ আর ডি মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্দের বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরই সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই প্রার্থীর এজেন্টরা কেন্দ্রেই ছিলেন। এ ছাড়া ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে হামলা বা ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

    বরিশাল নিউজ/স্ব/খ 

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...